বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। পহেলা বৈশাখ এ উৎসবটি পালিত হয়। পৃথিবীর যেখানে যত বাঙালি আছে, তারা সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ পালন করে। বাংলাদেশে এক সময় এই দিনে পূন্যহ অনুষ্ঠান হতো জাঁকজমকভাবে। এখন হালখাতা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, কবিগান, যাত্রা, বৈশাখী মেলা, আবৃতি-নাচ গানে মুখরিত থাকে সারাদেশ। এদিনে আমরা একে অন্যকে বলি শুভ নববর্ষ। এদিনে শহর অঞ্চলেও পান্তা ইলিশ খাওয়ার চল হয়েছে ইদানিং। নববর্ষের দিনে ছেলেরা পাজামা-পাঞ্জাবি এবং মেয়েরা নানা রঙের শাড়ী পড়ে নববর্ষের আনন্দে মেতে ওঠে। চারদিকে তৈরি হয় এক বর্ণিল পরিবেশ। বাংলা নববর্ষ এখন আমাদের প্রধান জাতীয় উৎসব। বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI
পরিবেশদূষণ ও প্রতিকার - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Environmental Pollution and Remedies | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI
![]() |
পরিবেশদূষণ ও প্রতিকার - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Environmental Pollution and Remedies | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
পরিবেশদূষণ ও প্রতিকার
ভূমিকা : আমাদের চারপাশের গাছপালা, মাটি-জল, মানুষজন, পশুপাখি সবকিছুর সম্মিলিত সহাবস্থানই হল পরিবেশ। জীবের সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ক যে রয়েছে তাকে অস্বীকার করা যায় না।
পরিবেশদূষণ : সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে মানুষ ঘরবাড়ি, কলকারখানা, রাস্তাঘাট নির্মাণ করতে গিয়ে নির্বিচারে গাছপালা কেটে চলেছে। অপরদিকে যানবাহন, কলকারখানার নিঃসৃত ধোঁয়া তথা কার্বন ডাইঅক্সাইড জীবনদায়ী অক্সিজেনের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। উদ্ভিদজগত কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করার ফলে যে সমতা বজায় থাকত
তা আজ আর নেই। জলও আজ দূষিত হয়ে পড়েছে। নানা বর্জ্য পদার্থ জলাশয়ের জলে মিশছে। আমাদের চেতনা ও শিক্ষার অভাবে প্রতিদিনই মানুষ জলের অপব্যবহার করছে। রাসায়নিক সার, কীটনাশক বিষ ব্যবহার করার ফলে জলাশয়ের জল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে চারদিকে শুধু হইচই চ্যাঁচামেচি প্রতিনিয়ত চলছে তাে চলছেই। বাদ্যযন্ত্রের শব্দ, কলকারখানার শব্দ, যানবাহনের শব্দ, এমনকি মাইক, টিভি ইত্যাদির শব্দে ভরে যাচ্ছে চারদিক; বােমা, পটকা, ইত্যাদির আওয়াজ যােগ হচ্ছে তার সঙ্গে। ছেঁড়া কাগজ,পলিথিন ব্যাগ, খড়, পাতা, ডাবের খােলা, কলার ডাটা ইত্যাদি যত্রতত্র ছড়ানাে বা কোথাও ডাঁই করে গাদা দেওয়া থাকে। চারদিকে পূতিগন্ধময় নরক। এইরকম অসহনীয় পরিবেশে মানুষ কিছুতেই সুস্থ থাকতে পারে না।
প্রতিকার : কেবল পরিবেশ দিবস বা বিশ্বপরিবেশ দিবস পালন করলেই হবে না। সকলকে পরিবেশ সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে। পরিবেশ কীভাবে রক্ষার করতে হবে তা বুঝিয়ে বলতে হবে। সকলের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা সঞ্চারিত করতে হবে। সবাইকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে ঐ পৃথিবীকে বাসযােগ্য করে রাখতেই হবে ।
উপসংহার : মানুষের খেয়ালখুশি মতাে আচরণ করা আর চলবে না। “খেয়াল খুশিতে কাটি অরণ্য/রচিয়া অমরাবতী”—এসব আর না করে কাটার আগে পাঁচটি গাছ পুঁতে বড়াে করতে হবে। মনে রাখতে হবে একটি গাছ অনেক প্রাণ। তাই আজকের স্লোগান হােক—গাছ লাগান, প্রাণ বাঁচান। কবিগুরু বলেছেন—“অন্ন নাই, প্রাণ নাই, চাই
মুক্ত বায়ু। "
![]() |
পরিবেশদূষণ ও প্রতিকার - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Environmental Pollution and Remedies | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
![]() |
পরিবেশদূষণ ও প্রতিকার - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Environmental Pollution and Remedies | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
![]() |
পরিবেশদূষণ ও প্রতিকার - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Environmental Pollution and Remedies | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |