বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। পহেলা বৈশাখ এ উৎসবটি পালিত হয়। পৃথিবীর যেখানে যত বাঙালি আছে, তারা সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ পালন করে। বাংলাদেশে এক সময় এই দিনে পূন্যহ অনুষ্ঠান হতো জাঁকজমকভাবে। এখন হালখাতা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, কবিগান, যাত্রা, বৈশাখী মেলা, আবৃতি-নাচ গানে মুখরিত থাকে সারাদেশ। এদিনে আমরা একে অন্যকে বলি শুভ নববর্ষ। এদিনে শহর অঞ্চলেও পান্তা ইলিশ খাওয়ার চল হয়েছে ইদানিং। নববর্ষের দিনে ছেলেরা পাজামা-পাঞ্জাবি এবং মেয়েরা নানা রঙের শাড়ী পড়ে নববর্ষের আনন্দে মেতে ওঠে। চারদিকে তৈরি হয় এক বর্ণিল পরিবেশ। বাংলা নববর্ষ এখন আমাদের প্রধান জাতীয় উৎসব। বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI
মানব কল্যাণে বন্যপ্রাণী - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Wildlife for Human Welfare | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI
![]() |
মানব কল্যাণে বন্যপ্রাণী - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Wildlife for Human Welfare | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
মানব কল্যাণে বন্যপ্রাণী
বৈচিত্র্যপূর্ণ এই পৃথিবী। বিচিত্র মানুষ, অরণ্য, পর্বত, সমুদ্র, সমতলভূমি ও বিচিত্র প্রাণী নিয়ে। পৃথিবীতে প্রাণের লীলা চির-অব্যাহত। শিক্ষাদীক্ষা, বুদ্ধিবৃত্তি ও মনন-কৌশলে মানুষ অন্যান্য প্রাণীদের থেকে স্বতন্ত্র এক শ্রেষ্ঠ জীব। তাই বলা হয় ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে মানুষের সঙ্গে অন্যান্য জীবজন্তুর কোনাে সম্পর্কও নেই। কিন্তু তা ভুল। মানুষের বিচিত্রমুখী জীবনধারায় প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে জীবজন্তুও নানাভাবে সাহায্য করছে। একে অপরের উপর নির্ভরশীল, এতেই প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় থাকে। বন্যপ্রাণীরা নানাভাবে মানুষের প্রভূত কল্যাণসাধন করছে। তাই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বিশেষ প্রয়ােজনীয়তা রয়েছে। কয়েক শতাব্দী পূর্বে মানুষ বন্যপ্রাণী সম্পর্কে কোনাে চিন্তাভাবনা করত না। তার প্রয়ােজন তখন দেখা দেয়নি। বর্তমান শতাব্দীতে মানুষের জীবনে নানা জটিল সমস্যা দেখা দেওয়ায় ও নিদারুণ সংকট সৃষ্টি হওয়ায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের গুরুত্বও বড়াে হয়ে উঠেছে। আগে পৃথিবীতে জনসংখ্যা ছিল খুবই কম। বাসস্থানের চারদিকে প্রচুর খােলামেলা জায়গা পড়ে থাকত। তারপর পৃথিবীতে দ্রুত হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেল। বসবাসের জন্য ঘরবাড়ি তৈরির পর্যাপ্ত জায়গার অভাব ঘটল। নিরুপায় মানুষ তখন বনভূমি কেটে পশুপক্ষী নির্বিচারে হত্যা করে ঘরবাড়ি তৈরি করতে থাকল। এর ফলে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে গেল। তখন মানবজীবনে দেখা দিল নিদারুণ সমস্যা। প্রথমে মানুষ ভেবেছিল বনের পশুপক্ষী মানুষের আবার কী উপকার করবে? লােকালয়ে যখন লােক ধরে না, তখন বনজঙ্গল কেটে বন্যপ্রাণী নিঃশেষ করে দিলে আর সমস্যা থাকবে না। কিন্ত দেখা গেল এক সমস্যা দূর করতে গিয়ে আর-এক সমস্যা ঘনিয়ে এল। এখানে মনে রাখা দরকার, মানুষেরজীবনয়াবার বহুলাংশ বন্য পশুপক্ষী নিয়ে নির্ভরশীল। মানুষের প্রয়ােজনে এবং প্রাণলীলার সামঞ্জস্যসাধনে ও পরিবেশের বিশুদ্ধতা রক্ষায় এসবের প্রয়ােজন আছে। তাই প্রতিটি রাষ্ট্রের সরকার থেকে সাধারণ নাগরিক এখন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য বিশেষভাবে সচেতন হয়ে উঠেছে।সারা পৃথিবী জুড়ে এখন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের চেষ্টা চলছে। ভারত সরকারও এ ব্যাপারে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছেন। পশুপক্ষীদের নিরাপদে ঘুরে বেড়ানাের জন্য অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে। বন্যপ্রাণী শিকার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন মানুষ বুঝতে পেরেছে বনের পশুপক্ষী হত্যা করে নিঃশেষ করে দিলে জীবনে দারুণ সংকট ঘনিয়ে আসবে।মানুষ শুধু মানুষের জন্য নয়। পশুপাখির জন্যও বটে। এই নতুন চেতনা দেখা দিয়েছে এখন। তাই পৃথিবীব্যাপী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ব্যবস্থা চলছে। বনের পশুপক্ষী মানুষকে অপরিমিত আনন্দ দেয়। শুধু এই নয়, মানুষের অনেক উপকারেও বন্যপ্রাণী প্রয়ােজন। বন্যপ্রাণী-সংরক্ষণের ফলে মানুষের পশুপ্রীতি বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষ হয়ে উঠবে সহজ সরল ও স্বাভাবিক।
![]() |
মানব কল্যাণে বন্যপ্রাণী - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Wildlife for Human Welfare | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
![]() |
মানব কল্যাণে বন্যপ্রাণী - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Wildlife for Human Welfare | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
![]() |
মানব কল্যাণে বন্যপ্রাণী - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Wildlife for Human Welfare | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |