বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। পহেলা বৈশাখ এ উৎসবটি পালিত হয়। পৃথিবীর যেখানে যত বাঙালি আছে, তারা সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ পালন করে। বাংলাদেশে এক সময় এই দিনে পূন্যহ অনুষ্ঠান হতো জাঁকজমকভাবে। এখন হালখাতা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, কবিগান, যাত্রা, বৈশাখী মেলা, আবৃতি-নাচ গানে মুখরিত থাকে সারাদেশ। এদিনে আমরা একে অন্যকে বলি শুভ নববর্ষ। এদিনে শহর অঞ্চলেও পান্তা ইলিশ খাওয়ার চল হয়েছে ইদানিং। নববর্ষের দিনে ছেলেরা পাজামা-পাঞ্জাবি এবং মেয়েরা নানা রঙের শাড়ী পড়ে নববর্ষের আনন্দে মেতে ওঠে। চারদিকে তৈরি হয় এক বর্ণিল পরিবেশ। বাংলা নববর্ষ এখন আমাদের প্রধান জাতীয় উৎসব। বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI
বাংলার উৎসব - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali Festival | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI
![]() |
বাংলার উৎসব - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali Festival | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
বাংলার উৎসব
‘এত ভঙ্গ বঙ্গদেশ তবু রঙ্গে ভরা’—এ তাে শুধু কথা নয়—এ তাে চিরচঞ্চল। প্রাণময় বাঙালির জীবন। বারাে মাসে তেরাে পার্বণের মেলাপ্রাঙ্গণ বাংলার বুকে। রােগে, শােকে, দুঃখে মারি-মন্বন্তরে বাংলা ভুলে যায়নি তার উৎসবের মেজাজ। দুর্যোগঘন তিমির রাতেও জ্বলে তার প্রাণের দীপালি। প্রাত্যহিক জীবনের তুচ্ছতাকে ভুলে বাঙালি কিন্তু বিশ্বভূপের ছায়া দেখে তার উৎসবে। প্রাণের আবেগেও চাপা পড়েনি তার মেলবন্ধন। হৃদয় জুড়াতে শ্মশানের বুকে রােপণ করে পঞ্চবটী। পয়লা বৈশাখ নববর্ষের প্রথম দিন থেকে চৈত্রের চিতাভস্ম উড়িয়েও তার উৎসবের বিরাম নেই।
ধর্মীয়, রাষ্ট্রিক এবং শ্রমিকশ্রেণির বিজয় অভিযানের স্মারক পয়লা ‘মে’-তেও তার উৎসাহ উদ্দীপনায় ভাটার টান ধরে না। বাংলার বর্ষবরণের পর তালপাতার ভেঁপু বাজিয়েরা রথের মেলায় চলে দলে দলে। পর্যায় ক্রমে আসে অকালবােধনে দুর্গাপুজো, কোজাগরী পূর্ণিমা, দেওয়ালি, পৌষপার্বণ, সরস্বতী পুজো, দোলযাত্রা, বাসন্তী পুজো আর চড়ক পুজো। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবস পালন, আর কত পালাপার্বণ ও অসংখ্য ব্রত উপবাস। কোনও কোনও এলাকা ভিত্তিক সতীমায়ের পুজো, বাউল আসর; সেই সঙ্গে সারা বাংলা জুড়ে মুসলমানদের ইদ, মহরম ও সবেবরাত! জৈনদের মহাবীর জয়ন্তী, বৌদ্ধদের বুদ্ধপূর্ণিমা, শিখ সম্প্রদায়ের গুরুনানক জন্ম দিবস পালন উৎসাহের নতুন পালক যােগ করে। প্রকৃতিপ্রেমিক বাঙালির উৎসব তার প্রাণের উৎসব। আন্তরিকতাই তার মুখ্য উদ্দেশ্য—হৃদয়ে হৃদয়ে যােগ করে বাঙালি পরকে করেছিল আপন। সব দীনতা, হীনতা, অবমাননা ভুলে বাঙালি দূরকে করেছিল নিকট। প্রাণ খুলে হাসিতে ভরে যেত তার উৎসব মন্দির। আচারসর্বস্ব ধর্মের নগ্নতা ঢাকবার এ এক মস্ত সুযােগ। স্বর্গসুখের লােভে মর্তেই যেন আনন্দের পসরা সাজায় বাঙালি হৃদয়। একালে উৎসব আছে তবে যান্ত্রিকতায় বলতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। শহর জীবনেও তা সহজেই বােঝা যায়। বাঙালির যৌথ পরিবার যেমন ভাঙছে তেমনি উৎসবে হাজারাে জনের উন্মুখ হয়ে থাকা সচরাসচর চোখে পড়ে না। বাংলার গ্রাম ও শহরে সার্বজনীনতার ছোঁয়া। সর্বজনীন নয় এ উৎসব। বাইরের চাকচিক্য, জৌলুস, গােষ্ঠীভাবনার বাহারি রং লেগেছে উৎসবের গায়ে। সময় যায় আর আসে, উৎসবও যেন আপন খেয়ালে এঘর ওঘর করে বিদায় নেয়। কবিগুরুর আহ্বান শুনে বাঙালি যেন আবার নতুন করে বলতে শেখে “মার অভিষেকে এস এস ত্বরা। মঙ্গলঘট হয়নি যে ভরা"।
![]() |
বাংলার উৎসব - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali Festival | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
![]() |
বাংলার উৎসব - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali Festival | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
![]() |
বাংলার উৎসব - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali Festival | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |