বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। পহেলা বৈশাখ এ উৎসবটি পালিত হয়। পৃথিবীর যেখানে যত বাঙালি আছে, তারা সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ পালন করে। বাংলাদেশে এক সময় এই দিনে পূন্যহ অনুষ্ঠান হতো জাঁকজমকভাবে। এখন হালখাতা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, কবিগান, যাত্রা, বৈশাখী মেলা, আবৃতি-নাচ গানে মুখরিত থাকে সারাদেশ। এদিনে আমরা একে অন্যকে বলি শুভ নববর্ষ। এদিনে শহর অঞ্চলেও পান্তা ইলিশ খাওয়ার চল হয়েছে ইদানিং। নববর্ষের দিনে ছেলেরা পাজামা-পাঞ্জাবি এবং মেয়েরা নানা রঙের শাড়ী পড়ে নববর্ষের আনন্দে মেতে ওঠে। চারদিকে তৈরি হয় এক বর্ণিল পরিবেশ। বাংলা নববর্ষ এখন আমাদের প্রধান জাতীয় উৎসব। বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI
গঙ্গাদূষণ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Ganges Pollution | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI
![]() |
গঙ্গাদূষণ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Ganges Pollution | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
গঙ্গাদূষণ
নদনদীর সঙ্গে যে-কোনাে দেশের মানুষের রয়েছে নিবিড় যােগ। দেশের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে নদীর প্রভাব খুব বেশি। দেশের নদীপ্রবাহ ও জনপ্রবাহ এক সূত্রে গাঁথা। নদী জল দেয়, রুক্ষ প্রান্তরকে করে তােলে শস্যশ্যামল,-নদীতে নৌকা, জাহাজ, ব্যাবসা-বাণিজ্যের জিনিসপত্র নিয়ে ঘাটে ঘাটে ভেড়ে। নদীর তীরে গড়ে ওঠে শহর-বন্দর। এমনিভাবে সভ্য মানুষের প্রভূত উপকারসাধন করে নদী।ভারতবর্ষের অন্যতম নদী গঙ্গা। কোটি কোটি ভারতীয় নরনারীর জীবনে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক দিক থেকেও গঙ্গানদীর প্রভাব অপরিসীম। হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে এর উৎপত্তি। উৎসমুখ থেকে মােহানা পর্যন্ত গঙ্গানদী ২,৫২৫ কিলােমিটার বিস্তৃত। বহু জনপদের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে গঙ্গা। এর তীরে তীরে গড়ে উঠেছে অনেক তীর্থ—এর জলে বিধৌত হয়েছে বহু প্রান্তর। গঙ্গা তাই ভারতীয়দের কাছে কল্যাণময়ী জননীস্বরূপিণী।গঙ্গাকে বলা হয়েছে পতিতােদ্ধারিণী, সুখদা, মােক্ষদা গঙ্গ। কিন্তু সেই গঙ্গা আধুনিক যন্ত্রসভ্যতার কবলে পড়ে আজ পীযুষবাহিনী নন, পুরীষবাহিনী।গঙ্গানদীর দুই তীরে আটচল্লিশটি প্রথম শ্রেণির ও ছেষট্টিটি দ্বিতীয় শ্রেণির শহর গড়ে উঠেছে। এইসব শহরে জলশােধনের ব্যবস্থা নেই। পরন্তু গবাদি পশুসমূহের স্নান, কলকারখানা থেকে নির্গত দূষিত পদার্থ,নর্দমাবাহিত মলমূত্র, আবর্জনা প্রতিদিন এসে পড়ছে। যে গঙ্গানদী ছিল ভারতীয় জনজীবনের প্রাণস্বরূপ—তা আজ হয়েছে আবর্জনা, মলমূত্র ও দূষিত পদার্থ নিক্ষেপের নর্দমাস্বরূপ। এর ফলে গঙ্গারদূষিত জলে রােগজীবাণু বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মানুষ রােগগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিদিন।গঙ্গানদীকে দূষণমুক্ত করার অনেক পরিকল্পনা হয়েছে। গঠিত হয়েছে গঙ্গা-উন্নয়ন বাের্ড। শুরু হয়েছে গঙ্গাকে নির্মল করার কাজ। বারাণসী ও পাটনা অঞ্চলে গঙ্গা অনেক বেশি পরিমাণে দূষিত হয়েছে। সেসব অঞলে কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্প যদি ঠিকমতাে রূপায়িত হয়, তবে কলুষবাহিনী গঙ্গাআবার ফিরে পাবে তার কলােচ্ছ্বাসিত যৌবনের তীর্থবারি। সেই বারিতে অবগাহন করে জাতিও লাভ করবে নবযৌবন ;তার জন্মান্তর ও রূপান্তর ঘটবে।
![]() |
গঙ্গাদূষণ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Ganges Pollution | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
![]() |
গঙ্গাদূষণ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Ganges Pollution | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
![]() |
গঙ্গাদূষণ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Ganges Pollution | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |