বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। পহেলা বৈশাখ এ উৎসবটি পালিত হয়। পৃথিবীর যেখানে যত বাঙালি আছে, তারা সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ পালন করে। বাংলাদেশে এক সময় এই দিনে পূন্যহ অনুষ্ঠান হতো জাঁকজমকভাবে। এখন হালখাতা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, কবিগান, যাত্রা, বৈশাখী মেলা, আবৃতি-নাচ গানে মুখরিত থাকে সারাদেশ। এদিনে আমরা একে অন্যকে বলি শুভ নববর্ষ। এদিনে শহর অঞ্চলেও পান্তা ইলিশ খাওয়ার চল হয়েছে ইদানিং। নববর্ষের দিনে ছেলেরা পাজামা-পাঞ্জাবি এবং মেয়েরা নানা রঙের শাড়ী পড়ে নববর্ষের আনন্দে মেতে ওঠে। চারদিকে তৈরি হয় এক বর্ণিল পরিবেশ। বাংলা নববর্ষ এখন আমাদের প্রধান জাতীয় উৎসব। বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI
মহাকাশ গবেষণায় ভারত - বাংলা রচনা | Bengali Essay on India in Space Research | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI
![]() |
মহাকাশ গবেষণায় ভারত - বাংলা রচনা | Bengali Essay on India in Space Research | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
মহাকাশ গবেষণায় ভারত
প্রাচীনকাল থেকেই জ্যোতির্বিজ্ঞানে ভারত যথেষ্ট উন্নত। ভারতীয় জ্যোতির্বিদ আর্যভট্টের নাম সর্বজনবিদিত। তিনিই বলেন পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরছে। অবশ্য এই কথার পুনরাবৃত্তি করবার জন্য ইউরােপীয় বিজ্ঞানীদের নানাভাবে নির্যাতিত হতে হয়েছে। তবুও মহাকাশ গবেষণায় ভারতের বর্তমান স্থানন কম আশাব্যঞ্জক নয়। ১৯৫৭ সালে রাশিয়া মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠালেও ১৯৬২ সালে স্বাধীন ভারতে মহাকাশ গবেষণার সূত্রপাত হয়। এর উদ্যোক্তা হলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু। এরপর ভারতের পারমাণবিক বিভাগ মহাকাশ গবেষণার জন্য একটি কমিটি তৈরি করে।
১৯৬৯ সাল থেকে তারা কাজ শুরু করে। ১৯৭২ সালে মহাকাশ গবেষণা কমিশন তৈরি হয়। এখন ভারতে মহাকাশ গবেষণার কাজ এরাই করে থাকে, ভারতের বিভিন্ন স্থানে ইতিমধ্যেই রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র চালু হয়েছে। এর মধ্যে থুম্বা, শ্রীহরিকোটা বিশেষ উল্লেখযােগ্য। মহাকাশ গবেষণায় ভারতকে রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাষ্ট্রসংঘ বিশেষভাবে সাহায্য করছে। ১৯৭৩ সালে ভারত তার প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘আর্যভট্ট’ পাঠায়। এটি ভারতীয় বিজ্ঞানীদের হাতে তৈরি হলেও উৎক্ষেপিত হয় রাশিয়া থেকে। ১৯৭৯ সালে ওই একই স্থান থেকে ভারত দ্বিতীয় উপগ্রহ ‘ভাস্কর’কে পাঠায়। ১৯৮০-তে ভারত মহাকাশে পাঠায় ‘রােহিণী’-কে অল্প কিছুকাল পরে আবার পাঠায় ‘অ্যাপল’-কে। এইসব উপগ্রহ নানাভাবে ভারতবাসীকে সাহায্য করেছে। ভাস্কর ভারতের আবহাওয়া, আর্যভট্ট ভারতের দূরদর্শন ও টেলিযােগাযােগকে সার্থক রূপ দিচ্ছে। ১৯৮৩ সালে ভারত প্রথম বহু উদ্দেশ্যসাধক উপগ্রহ ইনস্যাট (১বি)'-কে মহাকাশে পাঠায়। এটি অবশ্য আমেরিকা থেকে উৎক্ষেপিত হয়। ১৯৯০ ও ১৯৯২ সালে যথাক্রমে অগ্নি এবং পৃথ্বী নামের দুটির ক্ষেপণাস্ত্র ভারত মহাকাশে উৎক্ষেপণ করে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। বর্তমানে ভারত সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে মহাকাশে উপগ্রহ পাঠাতে সক্ষম। মহাকাশ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এইসব কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে দেশ-বিদেশের যে-কোনাে অঞ্চলের সাথে দূরভাষ ও দূরদর্শনের সাহায্যে যােগাযােগ মাধ্যম ও আবহাওয়ার পর্যবেক্ষক রূপে ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশের মানচিত্র নির্মাণের কাজেও কৃত্রিম উপগ্রহগুলির ভূমিকা বিশেষ উল্লেখযােগ্য।
![]() |
মহাকাশ গবেষণায় ভারত - বাংলা রচনা | Bengali Essay on India in Space Research | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
![]() |
মহাকাশ গবেষণায় ভারত - বাংলা রচনা | Bengali Essay on India in Space Research | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
![]() |
মহাকাশ গবেষণায় ভারত - বাংলা রচনা | Bengali Essay on India in Space Research | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |