বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। পহেলা বৈশাখ এ উৎসবটি পালিত হয়। পৃথিবীর যেখানে যত বাঙালি আছে, তারা সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ পালন করে। বাংলাদেশে এক সময় এই দিনে পূন্যহ অনুষ্ঠান হতো জাঁকজমকভাবে। এখন হালখাতা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, কবিগান, যাত্রা, বৈশাখী মেলা, আবৃতি-নাচ গানে মুখরিত থাকে সারাদেশ। এদিনে আমরা একে অন্যকে বলি শুভ নববর্ষ। এদিনে শহর অঞ্চলেও পান্তা ইলিশ খাওয়ার চল হয়েছে ইদানিং। নববর্ষের দিনে ছেলেরা পাজামা-পাঞ্জাবি এবং মেয়েরা নানা রঙের শাড়ী পড়ে নববর্ষের আনন্দে মেতে ওঠে। চারদিকে তৈরি হয় এক বর্ণিল পরিবেশ। বাংলা নববর্ষ এখন আমাদের প্রধান জাতীয় উৎসব। বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI
![]() |
ধান - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Paddy | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
ধান
বাংলার প্রধান খাদ্যশস্য ধান। ধান নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গান রচনা করেছেন—“আজি ধানের খেতে রৌদ্রছায়ায়
লুকোচুরি খেলা”। আবার 'নতুন ধান্যে হবে নবান্ন তােমার ভবনে ভবনে'। ধান গাছ ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ। ধান গাছ লম্বায় তিন-চার ফুট হয়। ধান গাছ একবার ফসল দিয়ে মরে যায় বলে একে ওষধি জাতীয় গাছ বলে। ধানচাষের জন্য উর্বর দোআঁশ মাটি প্রয়ােজন। বৃষ্টি প্রায় ২০০ সেমি। যখন ধানগাছ মাঠে মাঠে ভরে ওঠে মনে হয় যেন সবুজের বন্যা হয়েছে। পাকা ধানের রং সােনার মতাে। বাংলার ধানের সােনালি রং দেখেই কবি হয়তাে বলেছিলেন সােনার বাংলা। বাংলায় ধান সাধারণত দুরকমের হয়—আউশ আর আমন। ভারতের অনেক রাজ্যে ধানের চাষ হয়। পশ্চিমবঙ্গে ধানচাষ সবচেয়ে বেশি হয়। ধান থেকে চাল হয়। চাল ফুটিয়ে ভাত। এই ভাতই আমাদের প্রধান খাদ্য। এছাড়া মুড়ি, চিড়া, খই ইত্যাদি হয়। খড় গােরুতে খায় ও ঘর ছাওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। অঘ্রাণে চাষির ঘরে ধান ভরে যায় তাই তারা নবান্ন উৎসবের আয়ােজন করে।