সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সর্বশিক্ষা অভিযান - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Sarva Shiksha Abhiyan | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

সর্বশিক্ষা অভিযান - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Sarva Shiksha Abhiyan | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI
সর্বশিক্ষা অভিযান - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Sarva Shiksha Abhiyan | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI 


সর্বশিক্ষা অভিযান


সর্বশিক্ষা অভিযানের মূল স্লোগান সবার উন্নতি, সবার জন্য শিক্ষা। ১৯৫০ সালে ভারতবর্ষের সংবিধানে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং বাসভূমি ব্যবস্থার নির্দেশনা গৃহীত হয়েছিল। সেই সংবিধান স্বীকৃতি জানিয়েছিল সর্বজনীন অবৈতনিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক হবে। কিন্তু ২০০৭ সাল পর্যন্ত দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গ শুধু নয় ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে নিরক্ষরতার অবস্থান বিশেষ উদ্বেগজনক। নব্বই-এর দশক থেকে সারা দেশ জুড়ে সর্বশিক্ষা অর্থাৎ সকলের জন্য শিক্ষার এক নৈতিক অভিযান শুরু হয়। রাজ্য বাজেটের ২৬ শতাংশ অর্থ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ হলেও সমস্যার গভীরে এখনও উপনীত হওয়া যায়নি, ফলে কেন্দ্র, রাজ্য উভয়েই এক অভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। বাংলার ভূ-প্রকৃতির গঠন অনুসারে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের সমতলভূমিতে মানুষের প্রধান জীবিকাই হল কৃষি। সেই কৃষক এবং তার সহযােগী অনেক শিশু বাংলায় কৃষিকাজেই মননানিবেশ করে, ফলে গ্রামীণ সমাজব্যবস্থায় বহু কিশাের, কিশােরী বিদ্যায়তনের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হতে পারেনি। সেইসব পিছিয়ে পড়া শিশুদের শিক্ষার আলােকে উদ্ভাসিত করার প্রয়াস হল সর্বশিক্ষা অভিযান। শহর কিংবা গ্রামে অনেক মানব সম্পদ বহুদিন ধরে শিক্ষার আঙিনা থেকে নির্বাসিত। তারা বয়স্ক মানুষের সঙ্গে থেকে সহায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ। সেজন্য শিক্ষাদরদী এবং সরকারের লক্ষ্য হল সেইসব শিশুদের শিক্ষামুখীন করে তােলা। ২০২০ সালের মধ্যে দেশের সমস্ত শিশুর বাধ্যতামূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করা, বিভিন্ন প্রদেশে পর্ষদসমূহের স্বীকৃত বিদ্যালয়ে তাদের প্রবেশের ব্যবস্থা করা, সেইসঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক বিভিন্ন ব্যবধানের বিলুপ্তি সাধন ঘটানাে।  শিক্ষার অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে কোনােম্ভরূপ লিঙ্গবৈষম্য, স্বীকৃত হবে না। বিভিন্ন সময়ে এমনকি ইংরেজ আমলে শিক্ষা কমিশন শিক্ষা বিস্তারের বিভিন্ন প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে সেই শিক্ষার লক্ষ্য ছিল পারস্পারিক ভাব বিনিময়ের জন্য উপযুক্ত সংখ্যক শিক্ষিত কর্মী গড়ে তােলা এবং আয়াসী ভারতবাসীর কেরানীকুলের
জীবিকা গ্রহণের জন্য শিক্ষার মােহে স্বেচ্ছা নির্বাসন দিয়েছিল। ফলে দেখা গেছে। শ্রেণিকক্ষের পাঠদানের বিশেষ উপযােগিতা যথার্থতা লাভ করেনি। ২০০৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৪ কোটি ১৩ লক্ষ শিশু কোনও দিনই বিদ্যালয়ের মুখে দেখেনি। ২০০৩ সালে স্কুল-ছুট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৪ লক্ষ। সেইসব মূক মুখে ভাষা দিতে গিয়ে সরকারের অগ্রণী ভূমিকা বিশেষ প্রয়ােজন হয়ে পড়েছে। সেজন্য নৈশ বিদ্যালয় প্রবর্তন তথাকথিত শিক্ষিত মানুষদের স্বেচ্ছা শ্রমদানের মাধ্যমে শিক্ষার পরিধি বিস্তার লাভ করে এবং শিক্ষার অধিকারকে আরও স্বচ্ছ এবং মনােজ্ঞ করার জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানানাে হয়েছে। একথা সকলেই অনুধাবন করেন যে, শিক্ষা সর্বগ না হলে দেশের আর্থিক উন্নয়ন পূর্ণতা লাভ করে না। মূখের স্বর্গরাজ্যে বসবাস অপেক্ষা আত্মন্বেষণ শ্রেয়। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার এবং সচেতন করার লক্ষ্যে সকলের জন্য শিক্ষা বাধ্যতামূলক হওয়া প্রয়ােজন। দেশের অজ্ঞতা ঢেকে রাখার জন্য মিথ্যা প্রতিশ্রুতি না দিয়ে সমস্ত শিশুকে বিদ্যালয় অভিমুখীকরণের ইতিবাচক এবং গঠনমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। লােভাসক্ত হয়ে নয়; আন্তরিকভাবে শিশুদের শিক্ষাদানের ব্যবস্থা এবং শিশুকে সার্বজনীন করে তােলার প্রয়াস সর্বশিক্ষা অভিযানের মূল বিষয়বস্তু।


এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গোরু - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Cow | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

গোরু - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Cow | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI   গোরু গোরু গৃহপালিত প্রাণী I গোরুর চারটি পা, দুটি কান, দুটি চোখ ও একটি ল্যাজ আছে I মাথার ওপরে দুটি শিং আছে I গোবুর নীচের পাটিতে দাঁত আছে, ওপরের পাটিতে নেই । সাদা, কালো, লালচে, বাদামি ইত্যাদি নানা রং-এর গোরু দেখতে পাওয়া যায় ৷ গোরুর সারা শরীর লোম দিয়ে ঢাকা । গোবুর বাচ্চাকে বলে বাছুর I পুরুষ গোরুকে বলদ বা ষাঁড়ড বলে I আর স্ত্রী গোরুকে বলে গাভি I গোরু ঘাস,পাতা, খোল, ভূষি, ভাতের ফ্যান, তরকারির খােসা ইত্যাদি খায় I গোরু প্রায় ২০ | ২৫  বছর বাঁচে I গোরু অত্যন্ত উপকারী জীব I গোরুর দুধ থেকে দই, ছানা, মিষ্টি, মাখন, ঘি ইত্যাদি তৈরি হয় ৷ গোরুর মলকে গোবর বলে I গোবর থেকে ঘুঁটে, সার ইত্যাদি তৈরি হয় I গোরু এত উপকারী বলে হিন্দুরা একে দেবতাজ্ঞানে পূজাে করে ৷ গোরু - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Cow | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI গোরু - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Cow | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI গোরু - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Cow | Bangla Para

জাতীয় পতাকা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Flag | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

জাতীয় পতাকা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Flag | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI জাতীয় পতাকা আমাদের দেশের জাতীয় পতাকার তিনটি রং-সাদা, সবুজ ও গেরুয়া l এই তিনটি রং-এরই আলাদা আলাদা অর্থ আছে I সবুজ রং হল যৌবন শন্তির প্রতীক, সাদা রং হল শান্তির প্রতীক আর গেরুয়া রং হল সাহস ও ত্যাগের প্রতীক I সাদা রং-এর মাঝখানে একটি অশোকচক্র আছে I এটি ন্যায়ের প্রতীক I জাতীয় পতাকা দেশের সম্মান বহন করে ৷ প্রতিটি জাতীয়তামূলক কাজে জাতীয় পতাকা তোলা হয় I আমাদের প্রত্যেকের উচিত এই পতাকার সম্মান রক্ষা করা I জাতীয় পতাকা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Flag | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI জাতীয় পতাকা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Flag | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

পরিবেশদূষণ ও প্রতিকার - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Environmental Pollution and Remedies | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

পরিবেশদূষণ ও প্রতিকার  - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Environmental Pollution and Remedies | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI পরিবেশদূষণ ও প্রতিকার ভূমিকা : আমাদের চারপাশের গাছপালা, মাটি-জল, মানুষজন, পশুপাখি সবকিছুর সম্মিলিত সহাবস্থানই হল পরিবেশ। জীবের সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ক যে রয়েছে তাকে অস্বীকার করা যায় না। পরিবেশদূষণ : সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে মানুষ ঘরবাড়ি, কলকারখানা, রাস্তাঘাট নির্মাণ করতে গিয়ে নির্বিচারে গাছপালা কেটে চলেছে। অপরদিকে যানবাহন, কলকারখানার নিঃসৃত ধোঁয়া তথা কার্বন ডাইঅক্সাইড জীবনদায়ী অক্সিজেনের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। উদ্ভিদজগত কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করার ফলে যে সমতা বজায় থাকত তা আজ আর নেই। জলও আজ দূষিত হয়ে পড়েছে। নানা বর্জ্য পদার্থ জলাশয়ের জলে মিশছে। আমাদের চেতনা ও শিক্ষার অভাবে প্রতিদিনই মানুষ জলের অপব্যবহার করছে। রাসায়নিক সার, কীটনাশক বিষ ব্যবহার করার ফলে জলাশয়ের জল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে চারদিকে শুধু হইচই চ্যাঁচামেচি প্রতিনিয়ত চলছে তাে চলছেই। বাদ্যযন্ত্রের শব্দ, কলকারখানার শব্দ, যানবাহনের শব্দ, এমনকি মাইক, টিভি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Rabindra Nath Tagore | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Rabindra Nath Tagore | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিকা : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে বলা হয় বিশ্বকবি। তাঁর রচিত সাহিত্য সমগ্র বিশ্বের এক অমূল্য সম্পদ। বিশ্বকবি ছিলেন সর্বব্যাপী প্রতিভার অধিকারী। জন্ম ও বংশ পরিচয় : কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে রবীন্দ্রনাথের জন্মহয় ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৭ মে। তার বাবার নাম মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মায়ের নাম সারদা দেবী। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ সুলেখক ছিলেন। দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথের কাছে শৈশবে রবীন্দ্রনাথ কবিতা রচনায় উৎসাহ পেয়েছিলেন। ছাত্রজীবন : বাল্যকালে রবীন্দ্রনাথ ওরিয়েন্টাল সেমিনারি ওনর্মাল স্কুলে কিছুদিন লেখাপড়া করেছিলেন। স্কুলের পরিবেশ তার ভালাে না লাগায় স্কুল ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে মন দিয়ে লেখাপড়া করতে থাকেন। উচ্চশিক্ষার জন্যে তাঁকে বিলেতেও পাঠানাে হয়েছিল, কিন্তু সেখানেও তাঁর মন টেকেনি। তিনি দেশে ফিরে এসে কবিতা, গল্প, গান, নাটক লেখা শ

দুর্গাপূজা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Durga Puja | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

দুর্গাপূজা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Durga Puja | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI দুর্গাপূজা ভুমিকা: দুর্গাপূজা হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ উৎসব I এ উৎসবে সকলেই আনন্দে যেতে ওঠে। বাঙালির ঘরে ঘরে আনন্দের স্রোত বইতে থাকে ৷ প্রস্তুতি: এ সময় প্রত্যেক বাঙালি হিন্দুই সাধ্যমতো নতুন নতুন জামাকাপড় কিনে থাকে ৷ এজন্যে পূজার প্রায় একমাস আগে থেকেই জামাকাপড়ের দোকানে  ভিড় পড়ে যায়৷ পূজা উপলক্ষ্যে প্রায় একমাস স্কুল কলেজ বন্ধ থাকে I  অফিস আদালতও এসময় কয়েকদিন ছুটি থাকে ৷ যাঁরা দূরে বা বিদেশে থেকে চাকরি বা লেখাপড়া করেন, তাঁরা এ সময়ে বাড়ি ফিরে আসেন। সময়:   আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গে শরৎকালে  ও বসন্তকালে বছরে মোট দু বার দুর্গাপূজা হয় ৷ শরৎকালের পূজাকে ‘শারদীয়া পূজা’ আর বসন্তকালের পূজাকে ‘বাসন্তী পূজা’ বলা হয় । আমাদের দেশে শারদীয়া পূজারই প্রচলন বেশি । বর্ণনা: দুর্গা তাঁর বাহন সিংহের ওপর দাঁড়িয়ে থাকেন, তাঁর বাঁদিকে বীণা হাতে তাঁর এক কন্যা সরস্বতী, ডাইনে অন্য কন্যা লক্ষ্মী ৷ সরস্বতীর বাঁদিকে তিরধনুক হাতে এক পুত

বাংলার উৎসব - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali Festival | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

বাংলার উৎসব - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali Festival | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI বাংলার উৎসব ‘এত ভঙ্গ বঙ্গদেশ তবু রঙ্গে ভরা’—এ তাে শুধু কথা নয়—এ তাে চিরচঞ্চল। প্রাণময় বাঙালির জীবন। বারাে মাসে তেরাে পার্বণের মেলাপ্রাঙ্গণ বাংলার বুকে। রােগে, শােকে, দুঃখে মারি-মন্বন্তরে বাংলা ভুলে যায়নি তার উৎসবের মেজাজ। দুর্যোগঘন তিমির রাতেও জ্বলে তার প্রাণের দীপালি। প্রাত্যহিক জীবনের তুচ্ছতাকে ভুলে বাঙালি কিন্তু বিশ্বভূপের ছায়া দেখে তার উৎসবে। প্রাণের আবেগেও চাপা পড়েনি তার মেলবন্ধন। হৃদয় জুড়াতে শ্মশানের বুকে রােপণ করে পঞ্চবটী। পয়লা বৈশাখ নববর্ষের প্রথম দিন থেকে চৈত্রের চিতাভস্ম উড়িয়েও তার উৎসবের বিরাম নেই। ধর্মীয়, রাষ্ট্রিক এবং শ্রমিকশ্রেণির বিজয় অভিযানের স্মারক পয়লা ‘মে’-তেও তার উৎসাহ উদ্দীপনায় ভাটার টান ধরে না। বাংলার বর্ষবরণের পর তালপাতার ভেঁপু বাজিয়েরা রথের মেলায় চলে দলে দলে। পর্যায় ক্রমে আসে অকালবােধনে দুর্গাপুজো, কোজাগরী পূর্ণিমা, দেওয়ালি, পৌষপার্বণ, সরস্বতী পুজো, দোলযাত্রা, বাসন্তী পুজো  আর চড়ক পুজো। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবস পালন,

ইদ উৎসব - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Eid Festival | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

ইদ উৎসব - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Eid Festival | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI ইদ উৎসব হিন্দুদের যেমন দুর্গোৎসব মুসলমানদেরও তেমনি আনন্দের, আবেগের উৎসব ইদ। মুসলমানদের যতগুলি উৎসব আছে তার মধ্যে প্রধান উৎসব ইদ। ইদের চাঁদ দেখতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের ঘােষণার পরই শুরু হয়ে যায় বহু আকাঙ্ক্ষিত ও প্রতীক্ষিত ইদ উৎসব। ইদের আগে একমাস ধরে যে কালটি তাকে বলা হয় রমজান মাস। এই সময় নিষ্ঠা ও অবশ্য করণীয় ও পালনীয় ধর্মীয় আচার-রীতি কঠোরভাবে মেনে চলতে হয়। একমাস কৃচ্ছসাধন ও কষ্টভােগের পর ইদের উৎসব আসে বলে বাঁধভাঙা আনন্দে সবাই মেতে ওঠে। ইদের উৎসবে হিন্দুদের বিজয়া দশমীর দিন যেমন পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়, একে অন্যকে যেমন খুশির আবেগে আলিঙ্গন করে, ইদের দিনেও তেমনি ঘটনা ঘটে। এদিন কারুর মনেই কোনাে সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণ মানসিকতা থাকে না। ইদ মােবারক বলে সবাই সবাইকে শুভেচ্ছা জানায়। রমজান মাসে মুসলমানরা যে ধর্মীয় আচার পালন করে তার নাম রােজা রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনাে খাদ্য এমনকি জল পর্যন্ত গ্রহণ করে না। ইদের

শরৎকাল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Autumn | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

শরৎকাল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Autumn | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI শরৎকাল ভাদ্র ও আশ্বিন এই দু-মাস শরৎকাল ৷ বর্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পর এই সময় আকাশে পেঁজা তুলাের মতো  সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায় I মাঠে মাঠে কাশফুল, সবুজ ধান চোখ জুড়িয়ে দেয় I বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার পর শরতের সোনালি রোদ মানুষকে যেন নবজীবন দেয় ৷ শরৎ হল উৎসবের ঋতু I এই সময় বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজাে হয় ৷ মানুষের মন আনন্দে  ভরে ওঠে । তবে এই সময় ঋতু পরিবর্তনের কারণে  মানুষের সর্দি, কাশি, জ্বরও হয় I শরৎকাল অনেকেরই প্রিয় ঋতু I শরৎকাল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Autumn | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI শরৎকাল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Autumn | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI শরৎকাল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Autumn | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Netaji Subhas Chandra Bose | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Netaji Subhas Chandra Bose | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ভূমিকা : ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের অবদান অপরিসীম।এদেশের মানুষ তাঁকে আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। জন্ম ও বংশ পরিচয় : সুভাষচন্দ্র বসু ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি ওড়িশার কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম জানকীনাথ বসু ও মাতার নাম প্রভাবতী দেবী। সুভাষচন্দ্রের পিতা কটক শহরে ওকালতি করতেন। তাদের আদি বাড়ি ছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কোদালিয়া গ্রামে। ছাত্রজীবন : মেধাবী ছাত্র কটকের 'রাভেনশ'  কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। এই পরীক্ষায় তিনি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বিএ পাশ করার পর বিলেতে গিয়ে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেন। কর্মজীবন : সুভাষচন্দ্র সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশ করে দেশে ফিরে আসেন, কিন্তু ইংরেজ সরকারের অধীনে চাকরি গ্রহণ করলেন না। বরং ইংরেজদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করবার জন্যে স্বাধীনতা আন্দোলনে যাে

বর্ষাকাল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Rainy Season | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

বর্ষাকাল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Rainy Season | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI বর্ষাকাল আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দু-মাস বর্ষাকাল ৷ তবে আমাদের রাজ্যে জৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি থেকেই বর্ষা শুরু হয় এবং আশ্বিন মাস পর্যন্তই কমবেশি বৃষ্টি হয় ৷ তবে আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে প্রায় রোজই বৃষ্টি হয় I নদীনালা, পুকুর, খাল জলে ভরে যায় ৷ গাছপালা সবুজ ও সতেজ হয়ে ওঠে I  বর্ষাকালে কদম, কেতকী, জুঁই প্রভৃতি ফুল ফোটে I এই  সময় কলেরা, আমাশা টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি নানা রোগের প্ৰকােপ দেখা দেয় I বন্যাও হয় I এতে মানুষের খুব অসুবিধা হলেও মানুষ বর্ষা র জন্য অপেক্ষা করে I বর্ষাকাল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Rainy Season | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI বর্ষাকাল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Rainy Season | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI বর্ষাকাল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Rainy Season | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI বর্ষাকাল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Rainy Season | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI