বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। পহেলা বৈশাখ এ উৎসবটি পালিত হয়। পৃথিবীর যেখানে যত বাঙালি আছে, তারা সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ পালন করে। বাংলাদেশে এক সময় এই দিনে পূন্যহ অনুষ্ঠান হতো জাঁকজমকভাবে। এখন হালখাতা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, কবিগান, যাত্রা, বৈশাখী মেলা, আবৃতি-নাচ গানে মুখরিত থাকে সারাদেশ। এদিনে আমরা একে অন্যকে বলি শুভ নববর্ষ। এদিনে শহর অঞ্চলেও পান্তা ইলিশ খাওয়ার চল হয়েছে ইদানিং। নববর্ষের দিনে ছেলেরা পাজামা-পাঞ্জাবি এবং মেয়েরা নানা রঙের শাড়ী পড়ে নববর্ষের আনন্দে মেতে ওঠে। চারদিকে তৈরি হয় এক বর্ণিল পরিবেশ। বাংলা নববর্ষ এখন আমাদের প্রধান জাতীয় উৎসব। বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI
তােমার প্রিয় বই - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Your Favorite Book | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI
![]() |
তােমার প্রিয় বই - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Your Favorite Book | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
তােমার প্রিয় বই
আমার প্রিয় বই : কোনাে কোনাে বই মনের দরজায় এসে সব সময় উঁকি দেয়। এমন একটি উপন্যাস হল শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেনাপাওনা’। এই উপন্যাসটি প্রথম মায়ের মুখ থেকে শুনেই। পরে পুজোর ছুটিতে পড়েছি। অসাধারণ লেগেছে এর কাহিনি। এই উপন্যাসটি আমার এখনও পর্যন্ত প্রিয় বই।
বইটি কেন আমার প্রিয় : উপন্যাসের মূল চরিত্র অলকা। অলকাকে বিয়ে করেছিলেন জীবানন্দ। এই জীবানন্দ ছিলেন জমিদার। তবে তিনি অত্যচারী। প্রজাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালাে ছিল না। তাছাড়া তিনি ছিলেন মদ্যপ। কিন্তু অলকার সান্নিধ্যে তার মন সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তিত হয়। তিনি অন্য আর এক জীবনের সন্ধান করেন।
লেখক সম্পর্কে আলােচনা : বাংলা কথাসাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ নিজে একটি যুগ। সেই যুগভূমিতে অবস্থান করেও শরৎচন্দ্র হয়ে ওঠেন অসাধারণ। ১৮৭৬ সালে, সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখে হুগলির দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শরৎচন্দ্র। পিতার নাম মতিলাল চট্টোপাধ্যায়। মা ভুবনমােহিনী দেবী। শৈশবে প্যারীচরণ পাঠশালা ও পরে সিদ্ধেশ্বর মাস্টারের স্কুলে শিক্ষা গ্রহণ করেন। জুবিলি কলেজিয়েট স্কুল থেকে পরীক্ষায় পাশ করেন। পরে কলেজে ভর্তি হন। যদিও এফ.এ পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। মূলত লেখালিখি হয় পরে তার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য।
বইটির বিশেষত্ব : ‘দেনাপাওনা’ উপন্যাসটিতে নারীপ্রধান। অলকাকে যখন বিয়ের পরই ত্যাগ করেন জীবানন্দ; তখন অলকা একটি মন্দিরের ভৈরবী রূপে সাধনা করেন। তখন তার নাম হয় ষোড়শী। তিনি দরিদ্র মানুষদের পাশে সব সময় থেকেছেন। মানুষের মঙ্গল করেছেন। ভূমিহীন চাষিদের জীবনযাপনকে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন লেখক। বইটির ভাষা সহজ, সরল ও আন্তরিক। সব মিলিয়ে বইটি আমার ভালাে লেগেছে।
লেখকের অন্য বই : শরৎচন্দ্রের শ্রীকান্ত উপন্যাসটি পড়েছি। আর কোনাে বই পড়ার সুযােগ হয়নি। তবে পথের দাবী’ ও ‘পল্লীসমাজ’ উপন্যাসটিও পড়ার ইচ্ছে রয়েছে। আসলে শরৎচন্দ্রের লেখার মধ্যে এমন জাদু রয়েছে, যা আমাকে মুগ্ধ করে।