বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। পহেলা বৈশাখ এ উৎসবটি পালিত হয়। পৃথিবীর যেখানে যত বাঙালি আছে, তারা সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ পালন করে। বাংলাদেশে এক সময় এই দিনে পূন্যহ অনুষ্ঠান হতো জাঁকজমকভাবে। এখন হালখাতা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, কবিগান, যাত্রা, বৈশাখী মেলা, আবৃতি-নাচ গানে মুখরিত থাকে সারাদেশ। এদিনে আমরা একে অন্যকে বলি শুভ নববর্ষ। এদিনে শহর অঞ্চলেও পান্তা ইলিশ খাওয়ার চল হয়েছে ইদানিং। নববর্ষের দিনে ছেলেরা পাজামা-পাঞ্জাবি এবং মেয়েরা নানা রঙের শাড়ী পড়ে নববর্ষের আনন্দে মেতে ওঠে। চারদিকে তৈরি হয় এক বর্ণিল পরিবেশ। বাংলা নববর্ষ এখন আমাদের প্রধান জাতীয় উৎসব। বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI
একটি গাছ একটি প্রাণ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on A Tree A Life | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI
![]() |
একটি গাছ একটি প্রাণ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on A Tree A Life | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
একটি গাছ একটি প্রাণ
“আয় আমাদের অঙ্গনে অতিথি বালক তরুদল—
মানবের স্নেহ অঙ্গনে চল্ আমাদের ঘরে চল্।”
—রবীন্দ্রনাথ
বৃক্ষ মানুষের আপনজন, জননীতুল্য। বৃক্ষই পৃথিবীতে প্রাণের অগ্রদূত। মানুষের আগমনের পূর্বেই সে পৃথিবীতে এসে মানুষের জন্য খাদ্য এবং শীতল ছায়া দিয়ে প্রতীক্ষা করছিল তার আবির্ভাবের বিশ্বকবির কবিতায় গাছ ‘আদিপ্রাণ'। কিন্তু বর্তমান শহরকেন্দ্রিক সভ্যতায় কৃতঘ্ন মানুষ নিজহস্তে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে ধোঁয়ায় পরিপূর্ণ পরিবেশ। তবে ধীরে ধীরে বৃক্ষরােপণের প্রয়ােজনীয়তা মানুষের মধ্যে শুভবােধ জাগ্রত করছে। আমাদের দেশের বনভূমি জাতীয় উৎপাদনে এক উল্লেখযােগ্য ভূমিকা পালন করে। এই বনভূমি কেটে ফেলার অর্থ মরুভূমির সূচনা, মৃত্যুপুরীর আহ্বান। অর্থাৎ অনাবৃষ্টি, খরা, অনুর্বর শস্যখেত, দূষিত পরিবেশ। অরণ্যায়নের মাধ্যমে সম্ভব হয় মরুভূমির বশীকরণ। বৃক্ষরােপণের উদ্দেশ্যই হল অরণ্যের তরু শিশুদলকে মানব সমাজের সান্নিধ্যে আহ্বান করা। পর্যাপ্ত সংখ্যক বৃক্ষরােপণ দিতে পারে ধরণীর ক্ষতবেদনা নিরাময় করে শ্যামলিমার প্রতিশ্রুতি। বৃক্ষের গুরুত্ব ও বৃক্ষরােপণের প্রয়ােজনীয়তা অনুভব করে ১৯৫০ সালে এদেশে প্রথম বনমহােৎসব অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। আমাদের বিভিন্ন সংস্কৃতি, ধর্মীয় ও ঋতুগত নানান উৎসবের মধ্যে বৃক্ষরােপণ উৎসব নতুনভাবে সংযােজিত হয়েছে। সমাজভিত্তিক বনসৃজন প্রকল্প চালু হয়েছে। সরকারি উদ্যোগে ফাকা জায়গা, বাড়ির চারপাশ, পথিপার্শ্ব সবুজ হয়ে উঠছে। বিনামূল্যে নানাপ্রকার গাছ জনসাধারণের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। বর্ষায় লাগানাে হচ্ছে নতুন চারাগাছ। তবে গাছ লাগানাে মাত্রই কর্তব্য শেষ হয়ে যায় না। শিশুর মতাে গাছকেও স্নেহে, ভালােবাসায় বাড়িয়ে তােলা, সযত্নে পরিচর্যা করাও আমাদের কর্তব্য। অনেক সময় এই বৃক্ষরােপণ উৎসবকে কেন্দ্র করে অনেক স্বার্থান্বেষী দল স্বার্থলিপ্সায় মেতে ওঠে। কাজেই আমাদের প্রধান কাজ হল—‘একটি গাছ একটি প্রাণ” এই স্লোগান দিয়ে তার রূপ দেওয়া। তাই সৌন্দর্যায়নের চেষ্টায় দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়তে ‘মরু বিজয়ের কেতন উড়াও শূন্যে হে প্রবল প্রাণ/ধূলিরে ধন্য করে। করুণার পুণ্যে হে কোমল প্রাণ'। বর্তমান অরণ্যবিরল ভারত আজ তার পরিবেশকে দূষণমুক্ত করবার প্রয়ােজনে বনসৃজনে মনােনিবেশ করেছে। বুনেছে ইটের পর ইট মাঝে মানুষ কীট হয়ে থাকা সম্ভব নয়। আমরা গ্রহণ করব নব আলােকমণ্ডিত মুক্ত সবুজ পৃথিবীকে। সুতরাং আমাদের ধ্বনি হােক—
‘তােদের নবীন পল্লবে নাচুক আলােক সবিতার,
দে পবনে বনপল্লবে মর্মরগীত উপহার।
আজি শ্রাবণের বর্ষণে আশীর্বাদের স্পর্শণে,
পড়ক মাথায় পাতায় পাতায় অমরাবতীর ধারাজল।”