বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। পহেলা বৈশাখ এ উৎসবটি পালিত হয়। পৃথিবীর যেখানে যত বাঙালি আছে, তারা সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ পালন করে। বাংলাদেশে এক সময় এই দিনে পূন্যহ অনুষ্ঠান হতো জাঁকজমকভাবে। এখন হালখাতা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, কবিগান, যাত্রা, বৈশাখী মেলা, আবৃতি-নাচ গানে মুখরিত থাকে সারাদেশ। এদিনে আমরা একে অন্যকে বলি শুভ নববর্ষ। এদিনে শহর অঞ্চলেও পান্তা ইলিশ খাওয়ার চল হয়েছে ইদানিং। নববর্ষের দিনে ছেলেরা পাজামা-পাঞ্জাবি এবং মেয়েরা নানা রঙের শাড়ী পড়ে নববর্ষের আনন্দে মেতে ওঠে। চারদিকে তৈরি হয় এক বর্ণিল পরিবেশ। বাংলা নববর্ষ এখন আমাদের প্রধান জাতীয় উৎসব। বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI
জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Solidarity And Separatism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI
![]() |
জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Solidarity And Separatism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ
জাতীয় সংহতি বলতে বােঝায় কোনাে জাতির জনসাধারণের মধ্যে একতার মনােভাব। বস্তুতপক্ষে যে-কোনাে স্বাধীন রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নতির মূলে সর্বাগ্রে প্রয়ােজন দেশের জনগণের মধ্যে নিবিড় ঐক্যবােধ। দেশের মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ হয় ও সম্মিলিতভাবে কাজ করে, তবে সে দেশ ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগিয়ে যায়। জাতীয় সংহতি কেবল জাতির উন্নতিসাধনই করে না—দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে এবং বৈদেশিক শাসন প্রতিহত করে। তাই যে-কোনাে স্বাধীন রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও উন্নতির মূলশক্তি হল জাতীয় সংহতি।ভারতবর্ষ বহু জাতি, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের দেশ। এখানে বৈচিত্র্য রয়েছে অনেক। এই বৈচিত্র্যহেতু ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে বিরােধ-সংঘাতও যথেষ্ট হয়েছে। কিন্তু সেটাই বড়াে কথা নয়, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যসাধনই ছিল ইতিহাসের লক্ষ্য। ভারতবর্ষের ইতিহাসের প্রধান সার্থকতা এই বৈচিত্র্যের মধ্যেঐক্যসাধন। ভারতবর্ষ অধিকার করে ব্রিটিশ শাসক উপলব্ধি করেছিল এ দেশের মূলশক্তি—নিবিড় জাতীয়তাবোেধ। তাদের এই নিগুঢ় সত্যটি বুঝতে বেশি সময় লাগেনি যে, দেশের এই ঐক্যবােধ বিনষ্ট করতে না পারলে বেশিদিন ভারত শাসন করা যাবে না। তাই সুকৌশলে তারা ধর্মে-ধর্মে, সম্প্রদায়ে-সম্প্রদায়ে এবং প্রদেশে-প্রদেশে মানুষের সঙ্গে মানুষের বিভেদ ও সংঘর্ষ সৃষ্টি করে জাতীয় সংহতিকে বিনষ্ট করে দিয়েছে। ভারত স্বাধীন হল। কিন্তু ইংরেজ রেখে গেল তার মারণবীজ। স্বাধীনােত্তর ভারতে তাই বারেবারে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বেধেছে—বহু রক্ত ঝরে গেছে ভারতের মাটিতে। সম্প্রতি আমাদের জাতীয় সংহতি সাংঘাতিকভাবে বিপন্ন হতে বসেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিরােধী শক্তির প্রতিনিয়ত আন্দোলনে। দেশের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা বারবার জাতীয় ঐক্যের কথা বলছেন—প্রতিক্রিয়াশীল বিরােধীশক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার জন্য জনগণনকে জানাচ্ছেন। কিন্তু তেমন কিছু ফললাভ ঘটছে না।সম্প্রতি ভারতবর্ষের মাটি বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিদানবের পদভারে কম্পিত। পাঞ্জাবে খালিস্তানি আন্দোলন, দার্জিলিঙে গাের্খা আন্দোলন বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির বর্বর নখদন্ত বিস্তার করে বহু নরনারীর রক্ত নিয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির ফলে জন্ম হয়েছে মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড প্রভৃতি নতুন নতুন রাজ্য। নানা কারণে আমাদের জাতীয় সংহতি বিপন্ন। ভারতবর্ষের নরনারী আজ জাতীয় সংহতির মূল্যবােধ ভুলে গেছে। কবি, সাহিত্যিক ও দেশনেতারা জাতীয় সংহতির মূল্যবান কথা সব প্রচার করেছেন। মনে রাখা দরকার, কেবল মুখে জাতীয় সংহতির কথা বললে কোনাে কাজ হবে না। পরস্পরের আচরণে, কথাবার্তায়, মেলামেশায় এক জাতীয়ত্ববােধের সহৃদয় প্রকাশ ঘটলেই আমাদের মধ্যে যথার্থ সংহতি ফিরে আসবে। ভুললে চলবে না—ঐক্যবদ্ধ হলে আমাদের উন্নতি, আর বিরােধ বিবাদে আমাদের পতন। জাতীয় সংহতিই আমাদের জাতীয় জীবনের পতন থেকে রক্ষা করতে পারবে।
![]() |
জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Solidarity And Separatism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
![]() |
জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Solidarity And Separatism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
![]() |
জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Solidarity And Separatism | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |