বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। পহেলা বৈশাখ এ উৎসবটি পালিত হয়। পৃথিবীর যেখানে যত বাঙালি আছে, তারা সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ পালন করে। বাংলাদেশে এক সময় এই দিনে পূন্যহ অনুষ্ঠান হতো জাঁকজমকভাবে। এখন হালখাতা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, কবিগান, যাত্রা, বৈশাখী মেলা, আবৃতি-নাচ গানে মুখরিত থাকে সারাদেশ। এদিনে আমরা একে অন্যকে বলি শুভ নববর্ষ। এদিনে শহর অঞ্চলেও পান্তা ইলিশ খাওয়ার চল হয়েছে ইদানিং। নববর্ষের দিনে ছেলেরা পাজামা-পাঞ্জাবি এবং মেয়েরা নানা রঙের শাড়ী পড়ে নববর্ষের আনন্দে মেতে ওঠে। চারদিকে তৈরি হয় এক বর্ণিল পরিবেশ। বাংলা নববর্ষ এখন আমাদের প্রধান জাতীয় উৎসব। বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI
সমাজ ও শৃঙ্খলা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Society and Discipline | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI
![]() |
সমাজ ও শৃঙ্খলা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Society and Discipline | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
সমাজ ও শৃঙ্খলা
সমাজের পক্ষে উপযুক্ত মানুষ হতে গেলে তার কতকগুলি গুণ অর্জন করা দরকার। এর মধ্যেএকটি হল শৃঙ্খলা। সব মানুষই কাজ করে। কিন্তু সব মানুষের কাজের পরিমাণ এক নয়, মূল্যও এক নয়। কী কী কাজ কখন করতে হবে, সেটা যদি আগে থেকে ঠিক থাকে, তবে শৃঙ্খলাপরায়ণ ব্যক্তি ঠিক সময়মতাে পরপর কাজগুলি করে যাবে। তাই প্রত্যেক উন্নতিকামী ব্যক্তির জীবনে শৃঙ্খলার প্রয়ােজন অপরিসীম। শৃঙ্খলা না থাকলে সৌন্দর্য থাকে না। সমাজজীবনেও তাই শৃঙ্খলা আবশ্যক। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সভাই হােক আর নিমন্ত্ৰণবাড়িই হােক, উৎসবই হােক আর সমাজসেবাই হােক—সব কাজে শৃঙ্খলা প্রয়ােজন। বন্যা, দুর্ভিক্ষ, দরিদ্রভােজন ইত্যাদি ব্যাপারে প্রায়ই দেখা যায়, প্রচুর জিনিসপত্র জোগাড় করা সত্ত্বেও শৃঙ্খলার অভাবে ঠিক লােকের কাছে ঠিক সময় সাহায্য পৌঁছােয়নি, অথবা ঠিক সময়ে লােকজনকে খাওয়ানাে যায়নি। ছাত্রজীবনে শৃঙ্খলা যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, একথা বলা বাহুল্য। কীভাবে পড়াশােনা করা হবে, সে সম্পর্কে সুশৃঙ্খল পরিকল্পনা না থাকার ফলে বহু ছাত্রছাত্রীকে পরীক্ষার সময় অপ্রস্তুত দেখা যায়। সুতরাং পরীক্ষার সময় হয় এরা অসাধুতা অবলম্বন করে অথবা ফেল করে। এই ধরনের ছাত্রছাত্রী তাদের অসাফল্যের দরুন শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রীকে অথবা পরীক্ষককে দায়ী করে, কিন্তু নিজেদের বিশৃঙ্খল স্বভাবকে কখনাে দায়ী করে না। যে-ছাত্র খেলার সময়, কাজের সময়, পড়ার সময়, সবকিছুর সুশৃঙ্খল পরিকল্পনা করে, তাদের সাফল্য কিন্তু আপনা থেকেই আসে।শৃঙ্খলা যে মানুষকে কী পরিমাণ কর্মশক্তি দেয়, বহু খ্যাতনামা লােকের জীবন থেকে তার দৃষ্টান্ত দেওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথকে কেউ রাত সাড়ে নটার পর জেগে থাকতে দেখেনি। কত ভােরে তিনি উঠতেন, তাও কেউ দেখেনি। আর সারাদিন ধরে চলত তাঁর অজস্র কাজ। সব কাজ করার পরও নিজের হাতে লিখে লােকের কাছে যত চিঠি দিয়েছেন, তার সংখ্যা দশ হাজারের কম নয়। মহাত্মা গান্ধির শৃঙ্খলাজ্ঞান এত বেশি ছিল যে, বহু লােক নির্ধারিত সময়ে দেখা করতে না আসায় তাঁর সঙ্গে কথা বলার সুযােগ পায়নি। অসাধারণ শৃঙ্খলাজ্ঞানের ফলেই এঁরা বিখ্যাত হয়েছেন। পৃথিবীর সব খ্যাতনামা মানুষের কীর্তির পিছনেই এই শৃঙ্খলাজ্ঞানের অস্তিত্ব রয়েছে। দুঃখের বিষয়, আমাদের সমাজের প্রায় সর্বক্ষেত্রেই বিশৃঙ্খলা দেখতে পাওয়া যায়। তাই সিনেমার টিকিটের লাইনে যেমন ঠেলাঠেলি, খেলার টিকিটের লাইনেও তেমনি মারপিট। দেশসেবা এবং সমাজ সেবার কাজে যেমন বিশৃঙ্খলা, স্কুল কলেজের পড়াশােনা এবং বিভিন্ন পরীক্ষার ক্ষেত্রেও তেমনি শৃঙ্খলার অভাব। শৃঙ্খলার চর্চা না করলে আমাদের দেশের উন্নতির বিলম্ব ঘটবে, একথা সুনিশ্চিত।
![]() |
সমাজ ও শৃঙ্খলা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Society and Discipline | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
![]() |
সমাজ ও শৃঙ্খলা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Society and Discipline | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
সমাজ ও শৃঙ্খলা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Society and Discipline | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |