বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। পহেলা বৈশাখ এ উৎসবটি পালিত হয়। পৃথিবীর যেখানে যত বাঙালি আছে, তারা সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ পালন করে। বাংলাদেশে এক সময় এই দিনে পূন্যহ অনুষ্ঠান হতো জাঁকজমকভাবে। এখন হালখাতা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, কবিগান, যাত্রা, বৈশাখী মেলা, আবৃতি-নাচ গানে মুখরিত থাকে সারাদেশ। এদিনে আমরা একে অন্যকে বলি শুভ নববর্ষ। এদিনে শহর অঞ্চলেও পান্তা ইলিশ খাওয়ার চল হয়েছে ইদানিং। নববর্ষের দিনে ছেলেরা পাজামা-পাঞ্জাবি এবং মেয়েরা নানা রঙের শাড়ী পড়ে নববর্ষের আনন্দে মেতে ওঠে। চারদিকে তৈরি হয় এক বর্ণিল পরিবেশ। বাংলা নববর্ষ এখন আমাদের প্রধান জাতীয় উৎসব। বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI
বিবেকানন্দের স্বদেশ চেতনা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Vivekananda's Homeland Consciousness | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI
![]() |
বিবেকানন্দের স্বদেশ চেতনা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Vivekananda's Homeland Consciousness | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
বিবেকানন্দের স্বদেশ চেতনা
ভারতবর্ষের প্রাণশক্তির প্রতীক, বীরসন্ন্যাসী কর্মযােগী স্বামী বিবেকানন্দ। পরাধীন ভারতবর্ষে খ্রিস্টধর্ম ও ব্রাহ্মধর্মের দোটানায় হিন্দুধর্ম যখন দোদুল্যমান বিবেকানন্দ তখন দীর্ঘকালের নিদ্রিত কর্মবিমুখ ভারতবাসীর ঘুম ভাঙার আহ্বান জানালেন তার বাণীর মধ্য দিয়ে, 'ওঠ, জাগাে, যা তােমার প্রাপ্য ও তা বরণ করাে'। এই সন্ন্যাসী কলকাতার সিমলার প্রসিদ্ধ দত্তবংশে পিতা বিশ্বনাথ দত্ত ও মাতা ভুবনেশ্বরী দেবীর নয়নের মণি হয়ে জন্মগ্রহণ করলেন ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ জানুয়ারি। শৈশব শিক্ষা সমাপন করে স্কটিশচার্চ কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থাতেই ঈশ্বরের অনুসন্ধানে আকুল হয়ে দক্ষিণেশ্বরে শ্রী শ্রী পরমহংসদেব রামকৃষ্ণের কাছে তিনি পেলেন ঈশ্বরের সন্ধান। শেষপর্যন্ত মন থেকে সব সংশয় মুছে ফেলে তিনি হয়ে গেলেন রামকৃষ্ণের ভাবশিষ্য। আমেরিকার শিকাগাের বিশ্বধর্ম সম্মেলনে বিবেকানন্দের বাণীতে উত্তোলিত হল ভারতের সর্বধর্ম সমন্বয়বাদী হিন্দুধর্মের গৌরব পতাকা। সেদিন অপমান-লাঞ্ছনায় বিহুল, দুঃখ-দৈন্যে ম্রিয়মাণ আসমুদ্র হিমাচল ভারতবর্ষের গৌরবের কথা শুনিয়েছিলেন তিনি বিশ্ববাসীর কাছে। স্বদেশে ফিরে এসে বিবেকানন্দ জাত্যভিমানে গর্বদীপ্ত সমাজের তথাকথিত উচ্চবর্ণের প্রতি আস্থাহীন হয়ে এই সম্প্রদায়ের তীব্র সমালােচনা করেছেন। বিবেকানন্দের মতে, সমাজ হল সকল মানুষের মিলনভূমি যেখানে প্রাণশক্তি শত ধারায় মিলিত হয়। মানবদরদী বিবেকানন্দ বর্ণবিভেদ এবং অস্পৃশ্যতার কুসংস্কারে আবদ্ধ ভারতবাসীর সর্বহারাশ্রেণির উত্থানের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছিলেন, ‘ভুলিও না নীচ জাতি, মুখ, দরিদ্র, অজ্ঞ, মুচি, মেথর তােমার রক্ত, তােমার ভাই'। পরানুকরণকে তিনি মনে করতেন ব্যক্তির আত্মপ্রকাশ ও সৃজনশীলতার প্রতিবন্ধক, তাই পরাধীন ভারতবর্ষের অন্ধ পাশ্চাত্য অনুকরণ তাকে ব্যথিত করেছিল। দুর্বল ভারতবাসীকে বলবান করার জন্য দেশের যুববৃন্দকে তিনি গীতা পাঠের চেয়ে ফুটবল খেলার দিকে বেশি মন দিতে বলেন। বিবেকানন্দ স্কুল-কলেজের ছকে-বাঁধা পুঁথি-পড়া শিক্ষার পরিবর্তে মানুষের অন্তরের শ্রেষ্ঠ বৃত্তিগুলির বিকাশের উপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। ভারতের নবজাগরণের পথপ্রদর্শক এই চিরযুবা মহামানব মাত্র ঊনচল্লিশ বছর বয়সে ৪ঠা জুলাই ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে পরলােকগমন করেন, কিন্তু তার কথিত বাণী আজও ভারতের তরুণদের প্রাণচাঞ্চল্যে আন্দোলিত করে।
![]() |
বিবেকানন্দের স্বদেশ চেতনা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Vivekananda's Homeland Consciousness | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
![]() |
বিবেকানন্দের স্বদেশ চেতনা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Vivekananda's Homeland Consciousness | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
![]() |
বিবেকানন্দের স্বদেশ চেতনা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Vivekananda's Homeland Consciousness | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |