Be Careful from Diaper Rash - শিশুর ডায়াপার র্যাশ থেকে সাবধান
শিশুর ডায়াপার র্যাশ থেকে সাবধান | Be Careful from Diaper Rash |
শিশুদের কাপড় নাকি ডায়াপার কোনটা পরানাে হবে তা নিয়ে নতুন মায়েদের মনে নানারকম ভাবনা কাজ করে। তবে শিশুকে বাইরে নিয়ে গেলে বা কাপড় বার বার বদলানাের ঝামেলার চেয়ে আধুনিক মায়েরা এখন ডায়াপারের উপরেই ভরসা রাখছেন। এতে নােংরা কম হয়। তবে দীর্ঘক্ষণ ডায়াপার বা ভিজে ডায়াপার পরিয়ে রাখলে তা থেকে ত্বকের প্রদাহ হয়ে ছােট ছােট র্যাশ বের হয়, এটা বাচ্চার কাছে ভীষণই অস্বস্তিকর। একে বলে ডায়াপার র্যাশ । ডায়াপার র্যাশের ফলে শিশুর নিতম্বে গােল গােল লাল ছােপের মতাে দেখা যায়। আর সেটা যদি প্রাথমিক পর্যায়ে খেয়াল না করা হয়, তাহলে বাড়তে বাড়তে চূড়ান্ত অস্বস্তিকর পর্যায়ে পৌঁছয়। শিশুকে ভেজা ডায়াপার দীর্ঘক্ষণ ধরে পরিয়ে রাখলে, ডায়াপার অনেকক্ষণ ধরে বদলালে, তার উপর দিয়ে প্যান্ট পরালে এমনকী বাচ্চার যদি কোনও অ্যান্টিবায়ােটিক চলে, সেখান থেকে হতে পারে। ডায়াপার র্যাশ। মুলত ডায়াপার ঝামেলা মেটায় বাইরে ঘােরা বা রাত্রে ঘুমানাের সময়ে। কেউ কেউ সারাদিনই বাচ্চাকে ডায়াপার পরিয়ে রাখেন। তবে এই ডায়াপার র্যাশের সমস্যা এড়াতে বেশ কয়েকটি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে—
১) শিশুকে প্রতি চার থেকে ছয়ঘণ্টার মধ্যে ডায়াপার বদলানাে উচিত৷ দুয়ঘণ্টার বেশিক্ষণ একই ভেজা ডায়াপারে রাখলে সেখান থেকে সংক্রমণ হয়ে ইউরিনে সমস্যা হতে পারে।
২) শিশু যদি ইউরিন বা টয়লেট করে ডায়াপার ভিজিয়ে ফেলে তাহলে তা সঙ্গে সঙ্গে পালটে দিন। জায়গাটা ভালােকরে ধুয়ে শুকিয়ে আবার নতুন ডায়াপার পরান।
৩) ছেলে শিশুকে ডায়াপার পরানাের সময় সাবধানে পরাতে হবে, যাতে প্রস্রাব ঠিক ভাবে শােষণ হয়।
৪) শিশুকে যেখানে ডায়াপার পরানাে হয়, সেখানকার ত্বক যথেষ্ট সংবেদনশীল। বারবার ইউরিন বা টয়লেট হলে অতি আদ্রর্তার কারণে ত্বকের তৈলাক্ত প্রাকৃতিক স্তরের প্রতিরােধ ভেঙে পড়ে। সেজন্যই ফুসকুড়ি হয়। তাই ডায়াপার পরানাের আগে জায়গাটায় একটু বেবি পাউডার লাগিয়ে দিতে পারলে ভালাে।
৫) বাইরে বেরােনাের সময়ে অতিরিক্ত ডায়াপার সঙ্গে রাখুন।
৬) ডায়াপার শুকনাে থাক বা ভিজে তার উপর কখনও প্যান্ট বিশেষ করে প্লাস্টিকের প্যান্ট পরাবেন না। কেননা প্লাস্টিক আবরণ আর্দ্রতাকে ভেতরে আটকে রাখবে। যার থেকে ডায়াপার র্যাশের তীব্রতা আরও বাড়বে।
৭) ডায়াপার র্যাশ যদি খুব বেশি হয়, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যান, জিংক অক্সাইড যুক্ত মলম লাগালে এই র্যাশ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।