দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসেই দূরে রাখা যায় কোমরের ব্যথা | Daily Some Habits Can Be Kept Away From Back Pain
দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসেই দূরে রাখা যায় কোমরের ব্যথা | Daily Some Habits Can Be Kept Away From Back Pain |
সাধারণ যেসব কারণে মূলত কোমরব্যথা হয়-
১) শরীরের পেশি, হাড়, অস্থিসন্ধি, অস্থিসন্ধির আবরণী, ডিস্ক কিংবা স্নায়ুর কোন রোগ থেকে কোমরব্যথা হয়।
২) বুক, পেট কিংবা তলপেটে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যা, যেমন পিরিয়ডস হলে, ইউটেরাসে টিউমার, কিডনিতে পাথর, ইউরিনারি ইনফেকশন এগুলি থেকে কোমরব্যথার সমস্যা ভোগাতে পারে।
৩) কোমরব্যথার সবচেয়ে কমন কারণ হল বসার ভঙ্গি। যারা দীর্ঘক্ষণ অফিসে একই ভঙ্গিতে চেয়ারে বসে কাজ করেন এবং ব্রেক নেন না, তাদের কোমরব্যথা অবধারিত।
৪) চেয়ারে বসার অনুভূতি ঠিকমতাে না হলে সামনে বা পেছনে ঝুঁকে কাজ করতে হলে একটা ব্যথা শিরদাঁড়া হয়ে কোমরে নামতে থাকে ।
৫) দীর্ঘক্ষণ ড্রাইভিং করলে কোমরে ব্যথা হয়। তাই ড্রাইভিংয়ের সময়ে কোমরে কোন কিছু সাপাের্ট দিয়ে নেওয়া ভালো।
৬) নীচু হয়ে ভারী জিনিস তুলতে গেলে হ্যাচকা টানে বেকায়দায় অনেক সময়েই কোমরে ব্যথা শুরু হয়। শরীরের পজিশন ঝোঁকার সময়ে ঠিক না থাকায় মেরুদণ্ডে অস্বাভাবিক চাপ পড়ে। কোমরে ব্যথা হলে তা অনেকসময়েই কয়েকদিনের মধ্যে চলে যায়। কিন্তু যদি ব্যথাটা দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। হয়তাে-বা আপনার অজান্তেই কোমরে স্পণ্ডালাইসিস হয়েছে। কোমর থেকে ব্যথা নিতম্ব, ঊরু হয়ে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত গেলে বা তার সঙ্গে পায়ে অবশ ভাব থাকলে অবহেলা করবেন না। অনেক সময়ে এই ব্যথার সঙ্গে ইউরিন বা বাওয়েলের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। শােয়া থেকে উঠলে বা দাঁড়ানাে থেকে বসার সময়ে যদি কোমরে প্রবল ব্যথা অনুভূত হয়, তাহলে ব্যথার উৎসটা নির্ণয় করা দরকার।
কীভাবে কমবে
১) কোমর ব্যথা কী কারণে হচ্ছে তার উপরই নির্ভর করে এর চিকিৎসা কী। স্ত্রী রােগ বা ইউরিন-সংক্রান্ত কোনও রােগ থেকে যদি কোমরব্যথা হয়, তাহলে সেই রােগের চিকিৎসা করানাে প্রয়ােজন। স্পন্ডেলাইসিস সন্দেহ করলে এক্স রে র পর ফিজিওথেরাপি বা ট্রাকশন নিতে হতে পারে।
২) তবে মনে রাখতে হবে কোমরের ব্যথার চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ব্যথা কমিয়ে কোমরের নাড়াচাড়া স্বাভাবিক করা। বিশ্রামে থাকতে হবে। তাবে অল্পস্বল্প মুভমেন্ট না করলে ব্যথা কিন্তু যাবে না।
৩) ব্যথা কমালেও ভারী জিনিস তােলা, সামনের দিকে ঝু়ঁকে কোনও কাজ করা, দীর্ঘক্ষণ গাড়ি চালানাে, অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমকে বাদ দিতে হবে।
৪ ) বসার সময় পিছনে সাপাের্ট দিন।
৫) ব্যথার কারণ জানার পর চিকিৎসকের পরামর্শে গরম সেঁক নিতে পারেন।
৬) প্রয়ােজনে ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিন। তবে খুব ব্যথার মধ্যে ব্যায়াম করবেন না। ওষুধ খেয়ে ব্যথা কমিয়ে ব্যায়াম করলে ভালাে ফল পাবেন। সাধারণত এক্ষেত্রে নন স্টেরয়ডাল অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি ড্রাগস জাতীয় ব্যথানাশক দিয়ে চিকিৎসা করানাে হয়।
৭) নিজের থেকে ইন্টারনেটে দেখে ব্যায়াম করবেন না। কী রােগ, বয়স কতো এসব বিবেচনা করে ফিজিওথেরাপিস্টই আপনার জন্য চার্ট ঠিক করে দেবেন।