বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। পহেলা বৈশাখ এ উৎসবটি পালিত হয়। পৃথিবীর যেখানে যত বাঙালি আছে, তারা সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ পালন করে। বাংলাদেশে এক সময় এই দিনে পূন্যহ অনুষ্ঠান হতো জাঁকজমকভাবে। এখন হালখাতা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, কবিগান, যাত্রা, বৈশাখী মেলা, আবৃতি-নাচ গানে মুখরিত থাকে সারাদেশ। এদিনে আমরা একে অন্যকে বলি শুভ নববর্ষ। এদিনে শহর অঞ্চলেও পান্তা ইলিশ খাওয়ার চল হয়েছে ইদানিং। নববর্ষের দিনে ছেলেরা পাজামা-পাঞ্জাবি এবং মেয়েরা নানা রঙের শাড়ী পড়ে নববর্ষের আনন্দে মেতে ওঠে। চারদিকে তৈরি হয় এক বর্ণিল পরিবেশ। বাংলা নববর্ষ এখন আমাদের প্রধান জাতীয় উৎসব। বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI বাংলা নববর্ষ | পহেলা বৈশাখ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali New Year | Bengali Paragraph Writing for Class III - VI
ভারতের জাতীয় সংগীত - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Anthem | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI
![]() |
ভারতের জাতীয় সংগীত - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Anthem | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
ভারতের জাতীয় সংগীত
জাতীয় সংগীত যে কোনাে স্বাধীন দেশের মহামূল্য সম্পদ। দেশের জাতীয় পতাকার মতােই এর মর্যাদা। জাতীয় পতাকা যেমন কয়েকটি রঙিন কাপড়ের অংশবিশেষ মাত্র নয়, অনুরূপভাবে জাতীয় সংগীতও কেবলমাত্র সুর-তাল-লয়ে বাঁধা কবিতা নয়। জাতীয় সংগীতের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সেই দেশের আশা-প্রত্যাশার কথা, সেই দেশের আদর্শ-অনুভবের কথা। ভারতের জাতীয় সংগীতের মর্যাদাও অনন্য। পরাধীন ভারতবর্ষে ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দের ২৮ ডিসেম্বর কলকাতায় কংগ্রেসের অধিবেশন হয়। উক্ত অধিবেশনে বঙ্কিমচন্দ্রের 'বন্দেমাতরম্' জাতীয় সংগীতরূপে গৃহীত হয়। পরবর্তী কালে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ যখন ‘জনগণমন’ সংগীতটি রচনা করেন, তখন সেবারের কংগ্রেস অধিবেশনে সংগীতটি গীত হয়। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর গণপরিষদ 'বন্দেমাতরম্' এবং ‘জনগণমন’দুটি সংগীতকেই (জনগণমন সংগীতের কেবলমাত্র প্রথম স্তবক) জাতীয় সংগাতের মর্যাদা দেয়। পরবর্তী কালে অবশ্য ‘জনগণমন'কে জাতীয় সংগীত (National Song) এবং 'বন্দেমাতরম্' কে জাতীয় স্তোত্র (National Anthem) রূপে গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা আশা করি, যে-কোনাে দেশের জাতীয় সংগীতে থাকবে সেই দেশের জীবনধারার প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য, উল্লিখিত হবে দেশের সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, মূর্ত হয়ে উঠবে আন্তর্জাতিক চেতনা। আনন্দের এবং গর্বের কথা আমাদের জাতীয় সংগীত অর্থাৎ ‘জনগণমন’ সমস্ত দিক থেকেই সার্থকতা- মণ্ডিত। উপরিউক্ত সমস্ত বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে আলােচ্য সংগীতে যুক্ত হয়েছে ঈশ্বরচেতনা। রবীন্দ্রনাথ-রচিত এই জাতীয় সংগীতের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়, ঈশ্বর মঙ্গলময়। তিনিই ভারতের ভাগ্যবিধাতা। তাঁর শুভ নাম স্মরণ করে পঞ্জাব-সিন্ধু-বঙ্গ ইত্যাদি সমগ্র ভারতের মানুষ জাগ্রত হয়ে কর্মে প্রবৃত্ত হয়। বলা বাহুল্য সংগীতটির মধ্য দিয়ে সর্বমানবের ঐক্য এবং মিলনের বাণী ধ্বনিত হয়েছে। আমাদের জাতীয় সংগীত দেশের সংহতি ও ঐক্য বিধানেও যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছে। এই সংগীতে স্বদেশ এবং স্বদেশের মানুষের কথাই প্রাধান্য পেয়েছে। আমরা যে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঈশ্বরকে মাথায় রেখে দেশের কল্যাণকর্মে প্রবৃত্ত, সে কথাই এখানে ফুটে উঠেছে। বিখ্যাত সাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায় যথার্থই বলেছিলেন, 'জনগণমন-অধিনায়ক’-এর থেকে অন্য কোনাে সংগীতে জাতীয়তাবাদের মহান আদর্শ পাওয়া যাবে না।আলােচ্য জাতীয় সংগীতে ভারতের সমস্ত দেশের নামােল্লেখ নেই বলে একসময় অবশ্য কিছু বিতর্ক হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সমগ্র ভারতেই ‘জনগণমন' জাতীয় সংগীত রূপে স্বীকৃত। দেশে এবং বিদেশে সর্বই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ‘জনগণমন' ভারতের জাতীয় সংগীত রুপে মর্যাদার সঙ্গেই গীত হচ্ছে। আমাদের উচিত সর্বদাই জাতীয় সংগীতের মর্যাদা রক্ষা করা। জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভারতের জনগণের বহুদিনের স্বপ্ন, সাধনা ও প্রত্যাশার রূপায়ণ। সুতরাং সঠিক সুরে এবং কথায় ভাবগম্ভীর পরিবেশ রক্ষা করে সর্বত্র যাতে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়, আমাদের সে সম্বন্ধে সচেতন থাকতে হবে।
![]() |
ভারতের জাতীয় সংগীত - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Anthem | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
![]() |
ভারতের জাতীয় সংগীত - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Anthem | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |
![]() |
ভারতের জাতীয় সংগীত - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Anthem | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI |