সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভারতের জাতীয় সংগীত - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Anthem | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

ভারতের জাতীয় সংগীত - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Anthem | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI
ভারতের জাতীয় সংগীত - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Anthem | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI


ভারতের জাতীয় সংগীত


জাতীয় সংগীত যে কোনাে স্বাধীন দেশের মহামূল্য সম্পদ। দেশের জাতীয় পতাকার মতােই এর মর্যাদা। জাতীয় পতাকা যেমন কয়েকটি রঙিন কাপড়ের অংশবিশেষ মাত্র নয়, অনুরূপভাবে জাতীয় সংগীতও কেবলমাত্র সুর-তাল-লয়ে বাঁধা কবিতা নয়। জাতীয় সংগীতের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সেই দেশের আশা-প্রত্যাশার কথা, সেই দেশের আদর্শ-অনুভবের কথা। ভারতের জাতীয় সংগীতের মর্যাদাও অনন্য। পরাধীন ভারতবর্ষে ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দের ২৮ ডিসেম্বর কলকাতায় কংগ্রেসের অধিবেশন হয়। উক্ত অধিবেশনে বঙ্কিমচন্দ্রের 'বন্দেমাতরম্' জাতীয় সংগীতরূপে গৃহীত হয়। পরবর্তী কালে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ যখন ‘জনগণমন’ সংগীতটি রচনা করেন, তখন সেবারের কংগ্রেস অধিবেশনে সংগীতটি গীত হয়। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর গণপরিষদ 'বন্দেমাতরম্' এবং ‘জনগণমন’দুটি সংগীতকেই (জনগণমন সংগীতের কেবলমাত্র প্রথম স্তবক) জাতীয় সংগাতের মর্যাদা দেয়। পরবর্তী কালে অবশ্য ‘জনগণমন'কে জাতীয় সংগীত (National Song) এবং 'বন্দেমাতরম্' কে জাতীয় স্তোত্র (National Anthem) রূপে গ্রহণ করা হয়েছে।  আমরা আশা করি, যে-কোনাে দেশের জাতীয় সংগীতে থাকবে সেই দেশের জীবনধারার প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য, উল্লিখিত হবে দেশের সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, মূর্ত হয়ে উঠবে আন্তর্জাতিক চেতনা। আনন্দের এবং গর্বের কথা আমাদের জাতীয় সংগীত অর্থাৎ ‘জনগণমন’ সমস্ত দিক থেকেই সার্থকতা- মণ্ডিত। উপরিউক্ত সমস্ত বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে আলােচ্য সংগীতে যুক্ত হয়েছে ঈশ্বরচেতনা। রবীন্দ্রনাথ-রচিত এই জাতীয় সংগীতের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়, ঈশ্বর মঙ্গলময়। তিনিই ভারতের ভাগ্যবিধাতা। তাঁর শুভ নাম স্মরণ করে পঞ্জাব-সিন্ধু-বঙ্গ ইত্যাদি সমগ্র ভারতের মানুষ জাগ্রত হয়ে কর্মে প্রবৃত্ত হয়। বলা বাহুল্য সংগীতটির মধ্য দিয়ে সর্বমানবের ঐক্য এবং মিলনের বাণী ধ্বনিত হয়েছে। আমাদের জাতীয় সংগীত দেশের সংহতি ও ঐক্য বিধানেও যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছে। এই সংগীতে স্বদেশ এবং স্বদেশের মানুষের কথাই প্রাধান্য পেয়েছে। আমরা যে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঈশ্বরকে মাথায় রেখে দেশের কল্যাণকর্মে প্রবৃত্ত, সে কথাই এখানে ফুটে উঠেছে। বিখ্যাত সাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায় যথার্থই বলেছিলেন, 'জনগণমন-অধিনায়ক’-এর থেকে অন্য কোনাে সংগীতে জাতীয়তাবাদের মহান আদর্শ পাওয়া যাবে না।আলােচ্য জাতীয় সংগীতে ভারতের সমস্ত দেশের নামােল্লেখ নেই বলে একসময় অবশ্য কিছু বিতর্ক হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সমগ্র ভারতেই ‘জনগণমন' জাতীয় সংগীত রূপে স্বীকৃত। দেশে এবং বিদেশে সর্বই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ‘জনগণমন' ভারতের জাতীয় সংগীত রুপে মর্যাদার সঙ্গেই গীত হচ্ছে। আমাদের উচিত সর্বদাই জাতীয় সংগীতের মর্যাদা রক্ষা করা। জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভারতের জনগণের বহুদিনের স্বপ্ন, সাধনা ও প্রত্যাশার রূপায়ণ। সুতরাং সঠিক সুরে এবং কথায় ভাবগম্ভীর পরিবেশ রক্ষা করে সর্বত্র যাতে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়, আমাদের সে সম্বন্ধে সচেতন থাকতে হবে।


এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

দুর্গাপূজা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Durga Puja | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

দুর্গাপূজা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Durga Puja | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI দুর্গাপূজা ভুমিকা: দুর্গাপূজা হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ উৎসব I এ উৎসবে সকলেই আনন্দে যেতে ওঠে। বাঙালির ঘরে ঘরে আনন্দের স্রোত বইতে থাকে ৷ প্রস্তুতি: এ সময় প্রত্যেক বাঙালি হিন্দুই সাধ্যমতো নতুন নতুন জামাকাপড় কিনে থাকে ৷ এজন্যে পূজার প্রায় একমাস আগে থেকেই জামাকাপড়ের দোকানে  ভিড় পড়ে যায়৷ পূজা উপলক্ষ্যে প্রায় একমাস স্কুল কলেজ বন্ধ থাকে I  অফিস আদালতও এসময় কয়েকদিন ছুটি থাকে ৷ যাঁরা দূরে বা বিদেশে থেকে চাকরি বা লেখাপড়া করেন, তাঁরা এ সময়ে বাড়ি ফিরে আসেন। সময়:   আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গে শরৎকালে  ও বসন্তকালে বছরে মোট দু বার দুর্গাপূজা হয় ৷ শরৎকালের পূজাকে ‘শারদীয়া পূজা’ আর বসন্তকালের পূজাকে ‘বাসন্তী পূজা’ বলা হয় । আমাদের দেশে শারদীয়া পূজারই প্রচলন বেশি । বর্ণনা: দুর্গা তাঁর বাহন সিংহের ওপর দাঁড়িয়ে থাকেন, তাঁর বাঁদিকে বীণা হাতে তাঁর এক কন্যা সরস্বতী, ডাইনে অন্য কন্যা লক্ষ্মী ৷ সরস্বতীর বাঁদিকে তিরধনুক হাতে এক পুত

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Rabindra Nath Tagore | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Rabindra Nath Tagore | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিকা : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে বলা হয় বিশ্বকবি। তাঁর রচিত সাহিত্য সমগ্র বিশ্বের এক অমূল্য সম্পদ। বিশ্বকবি ছিলেন সর্বব্যাপী প্রতিভার অধিকারী। জন্ম ও বংশ পরিচয় : কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে রবীন্দ্রনাথের জন্মহয় ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৭ মে। তার বাবার নাম মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মায়ের নাম সারদা দেবী। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ সুলেখক ছিলেন। দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথের কাছে শৈশবে রবীন্দ্রনাথ কবিতা রচনায় উৎসাহ পেয়েছিলেন। ছাত্রজীবন : বাল্যকালে রবীন্দ্রনাথ ওরিয়েন্টাল সেমিনারি ওনর্মাল স্কুলে কিছুদিন লেখাপড়া করেছিলেন। স্কুলের পরিবেশ তার ভালাে না লাগায় স্কুল ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে মন দিয়ে লেখাপড়া করতে থাকেন। উচ্চশিক্ষার জন্যে তাঁকে বিলেতেও পাঠানাে হয়েছিল, কিন্তু সেখানেও তাঁর মন টেকেনি। তিনি দেশে ফিরে এসে কবিতা, গল্প, গান, নাটক লেখা শ

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Netaji Subhas Chandra Bose | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Netaji Subhas Chandra Bose | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ভূমিকা : ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের অবদান অপরিসীম।এদেশের মানুষ তাঁকে আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। জন্ম ও বংশ পরিচয় : সুভাষচন্দ্র বসু ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি ওড়িশার কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম জানকীনাথ বসু ও মাতার নাম প্রভাবতী দেবী। সুভাষচন্দ্রের পিতা কটক শহরে ওকালতি করতেন। তাদের আদি বাড়ি ছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কোদালিয়া গ্রামে। ছাত্রজীবন : মেধাবী ছাত্র কটকের 'রাভেনশ'  কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। এই পরীক্ষায় তিনি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বিএ পাশ করার পর বিলেতে গিয়ে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেন। কর্মজীবন : সুভাষচন্দ্র সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশ করে দেশে ফিরে আসেন, কিন্তু ইংরেজ সরকারের অধীনে চাকরি গ্রহণ করলেন না। বরং ইংরেজদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করবার জন্যে স্বাধীনতা আন্দোলনে যাে

গোরু - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Cow | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

গোরু - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Cow | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI   গোরু গোরু গৃহপালিত প্রাণী I গোরুর চারটি পা, দুটি কান, দুটি চোখ ও একটি ল্যাজ আছে I মাথার ওপরে দুটি শিং আছে I গোবুর নীচের পাটিতে দাঁত আছে, ওপরের পাটিতে নেই । সাদা, কালো, লালচে, বাদামি ইত্যাদি নানা রং-এর গোরু দেখতে পাওয়া যায় ৷ গোরুর সারা শরীর লোম দিয়ে ঢাকা । গোবুর বাচ্চাকে বলে বাছুর I পুরুষ গোরুকে বলদ বা ষাঁড়ড বলে I আর স্ত্রী গোরুকে বলে গাভি I গোরু ঘাস,পাতা, খোল, ভূষি, ভাতের ফ্যান, তরকারির খােসা ইত্যাদি খায় I গোরু প্রায় ২০ | ২৫  বছর বাঁচে I গোরু অত্যন্ত উপকারী জীব I গোরুর দুধ থেকে দই, ছানা, মিষ্টি, মাখন, ঘি ইত্যাদি তৈরি হয় ৷ গোরুর মলকে গোবর বলে I গোবর থেকে ঘুঁটে, সার ইত্যাদি তৈরি হয় I গোরু এত উপকারী বলে হিন্দুরা একে দেবতাজ্ঞানে পূজাে করে ৷ গোরু - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Cow | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI গোরু - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Cow | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI গোরু - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Cow | Bangla Para

জাতীয় পতাকা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Flag | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

জাতীয় পতাকা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Flag | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI জাতীয় পতাকা আমাদের দেশের জাতীয় পতাকার তিনটি রং-সাদা, সবুজ ও গেরুয়া l এই তিনটি রং-এরই আলাদা আলাদা অর্থ আছে I সবুজ রং হল যৌবন শন্তির প্রতীক, সাদা রং হল শান্তির প্রতীক আর গেরুয়া রং হল সাহস ও ত্যাগের প্রতীক I সাদা রং-এর মাঝখানে একটি অশোকচক্র আছে I এটি ন্যায়ের প্রতীক I জাতীয় পতাকা দেশের সম্মান বহন করে ৷ প্রতিটি জাতীয়তামূলক কাজে জাতীয় পতাকা তোলা হয় I আমাদের প্রত্যেকের উচিত এই পতাকার সম্মান রক্ষা করা I জাতীয় পতাকা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Flag | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI জাতীয় পতাকা - বাংলা রচনা | Bengali Essay on National Flag | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

পরিবেশদূষণ ও প্রতিকার - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Environmental Pollution and Remedies | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

পরিবেশদূষণ ও প্রতিকার  - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Environmental Pollution and Remedies | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI পরিবেশদূষণ ও প্রতিকার ভূমিকা : আমাদের চারপাশের গাছপালা, মাটি-জল, মানুষজন, পশুপাখি সবকিছুর সম্মিলিত সহাবস্থানই হল পরিবেশ। জীবের সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ক যে রয়েছে তাকে অস্বীকার করা যায় না। পরিবেশদূষণ : সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে মানুষ ঘরবাড়ি, কলকারখানা, রাস্তাঘাট নির্মাণ করতে গিয়ে নির্বিচারে গাছপালা কেটে চলেছে। অপরদিকে যানবাহন, কলকারখানার নিঃসৃত ধোঁয়া তথা কার্বন ডাইঅক্সাইড জীবনদায়ী অক্সিজেনের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। উদ্ভিদজগত কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করার ফলে যে সমতা বজায় থাকত তা আজ আর নেই। জলও আজ দূষিত হয়ে পড়েছে। নানা বর্জ্য পদার্থ জলাশয়ের জলে মিশছে। আমাদের চেতনা ও শিক্ষার অভাবে প্রতিদিনই মানুষ জলের অপব্যবহার করছে। রাসায়নিক সার, কীটনাশক বিষ ব্যবহার করার ফলে জলাশয়ের জল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে চারদিকে শুধু হইচই চ্যাঁচামেচি প্রতিনিয়ত চলছে তাে চলছেই। বাদ্যযন্ত্রের শব্দ, কলকারখানার শব্দ, যানবাহনের শব্দ, এমনকি মাইক, টিভি

পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Pandit Iswar Chandra Vidyasagar | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Pandit Iswar Chandra Vidyasagar | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ভূমিকা: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আসল নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি শুধু বিদ্যারই সাগর ছিলেন না, ছিলেন - করুণাসাগর, দয়ার সাগর । জন্ম ও বংশ পরিচয়: মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে ১৮২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরচন্দ্রের জন্ম হয়। তাঁর পিতার নাম ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। মাতার নাম ভগবতী দেবী। শিক্ষা: পাঁচ বছর বয়সে গ্রামের পাঠশালায় ভরতি হন। সেখানে পড়াশােনা শেষ করে সাড়ে আট বৎসর বয়সে বাবার  সঙ্গে কলকাতায় চলে আসেন এবং কলকাতার সংস্কৃত কলেজে  ভরতি হন। ছােটোবেলা থেকেই তিনি খুব মেধাবী ছিলেন। পিতার আর্থিক অবস্থা ভালাে না থাকার দরুন তাঁকে ছােটোবেলায় খুব কষ্ট করে লেখাপড়া শিখতে হয়েছিল। তাঁকে রান্না করে খেতে হত এবং রাস্তার আলােতেই পড়তে হত। এভাবে কষ্ট করে তিনি বিদ্যালাভ করেন। সংস্কৃত কলেজ থেকেই তিনি ' বিদ্যাসাগর ’ উপাধি লাভ করেন। কর্মজীবন: লেখাপড়া শেষ

শরৎকাল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Autumn | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

শরৎকাল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Autumn | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI শরৎকাল ভাদ্র ও আশ্বিন এই দু-মাস শরৎকাল ৷ বর্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পর এই সময় আকাশে পেঁজা তুলাের মতো  সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায় I মাঠে মাঠে কাশফুল, সবুজ ধান চোখ জুড়িয়ে দেয় I বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার পর শরতের সোনালি রোদ মানুষকে যেন নবজীবন দেয় ৷ শরৎ হল উৎসবের ঋতু I এই সময় বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজাে হয় ৷ মানুষের মন আনন্দে  ভরে ওঠে । তবে এই সময় ঋতু পরিবর্তনের কারণে  মানুষের সর্দি, কাশি, জ্বরও হয় I শরৎকাল অনেকেরই প্রিয় ঋতু I শরৎকাল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Autumn | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI শরৎকাল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Autumn | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI শরৎকাল - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Autumn | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ - বাংলা রচনা ক্লাস 6 | Bengali Essay on Swami Vivekananda | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Swami Vivekananda | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ ভূমিকা: ভারতীয় ধর্ম ও আদর্শকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছিলেন বিশ্বজয়ী স্বামী বিবেকানন্দ । তাঁর নেতৃত্বে সন্ন্যাসীরা মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করার ব্রত গ্রহণ করেন। বিবেকানন্দের আসল নাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত।  জন্ম ও বংশ: কলকাতার সিমলা অঞ্চলে তার জন্ম হয়েছিল ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ জানুয়ারি। তার বাবার নাম  বিশ্বনাথ দত্ত, মায়ের নাম ভুবনেশ্বরী দেবী। ছেলেবেলায় তিনি ছিলেন ভীষণ দুরন্ত, নির্ভীক ও মেধাবী। বাল্যজীবন ও শিক্ষা: তিনি ছেলেবেলা থেকেই সাহসী ও ধার্মিক ছিলেন। আর ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও মনােযােগী ছাত্র। বিএ পাশ করার পর তাকে নানা আর্থিক অনটনে ভুগতে হয়। একসময় শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণদেবের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ক্রমে তিনি রামকৃষ্ণদেবের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ অনুভব করেন। দক্ষিণেশ্বরে ঘন ঘন যাতায়াত শুরু  হয় তাঁর। অবশেষে তিনি শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন তাঁর। কর্মজীবন ও আদর্শ: সন্ন্যাসগ্রহণের পর তাঁর নাম হয় স্বামী বিবেকানন

বাংলার উৎসব - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali Festival | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI

বাংলার উৎসব - বাংলা রচনা | Bengali Essay on Bengali Festival | Bangla Paragraph Writing for Class III - VI বাংলার উৎসব ‘এত ভঙ্গ বঙ্গদেশ তবু রঙ্গে ভরা’—এ তাে শুধু কথা নয়—এ তাে চিরচঞ্চল। প্রাণময় বাঙালির জীবন। বারাে মাসে তেরাে পার্বণের মেলাপ্রাঙ্গণ বাংলার বুকে। রােগে, শােকে, দুঃখে মারি-মন্বন্তরে বাংলা ভুলে যায়নি তার উৎসবের মেজাজ। দুর্যোগঘন তিমির রাতেও জ্বলে তার প্রাণের দীপালি। প্রাত্যহিক জীবনের তুচ্ছতাকে ভুলে বাঙালি কিন্তু বিশ্বভূপের ছায়া দেখে তার উৎসবে। প্রাণের আবেগেও চাপা পড়েনি তার মেলবন্ধন। হৃদয় জুড়াতে শ্মশানের বুকে রােপণ করে পঞ্চবটী। পয়লা বৈশাখ নববর্ষের প্রথম দিন থেকে চৈত্রের চিতাভস্ম উড়িয়েও তার উৎসবের বিরাম নেই। ধর্মীয়, রাষ্ট্রিক এবং শ্রমিকশ্রেণির বিজয় অভিযানের স্মারক পয়লা ‘মে’-তেও তার উৎসাহ উদ্দীপনায় ভাটার টান ধরে না। বাংলার বর্ষবরণের পর তালপাতার ভেঁপু বাজিয়েরা রথের মেলায় চলে দলে দলে। পর্যায় ক্রমে আসে অকালবােধনে দুর্গাপুজো, কোজাগরী পূর্ণিমা, দেওয়ালি, পৌষপার্বণ, সরস্বতী পুজো, দোলযাত্রা, বাসন্তী পুজো  আর চড়ক পুজো। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবস পালন,